শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যার অন্যতম আসামি আসামি মুকুল দফাদারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর। ৩ নভেম্বর রবিবার বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাব সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৪ আগস্ট রবিবার শেরপুর শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণমিছিল বের হয়। বিকাল ৭টার দিকে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে মো. মাহবুব আলম নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে সবুজ মিয়া (১৮) নামে একজন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ওই ঘটনায় নিহতের ভাই মা মোছা. মাহফুজা খাতুন বাদী হয়ে ১২ আগস্ট ধন্ডবিধি ১৪৩/৩০২/৩৪ ধারা, পেনাল কোড-১৮৬০ ধারায় শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৮। মামলা দায়েরের পর র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর কোম্পানি ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করে।
র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের মিডয়া কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর কোম্পানির একটি আভিযানিক দল ৩ নভেম্বর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে শেরপুর জেলা সদর উপজেলার সোনার বাংলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় করে ওই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আসামি মো. মুকুল দফাদারকে (৫০) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার মুকুল দফাদার শেরপুর সদর উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের বদু দফাদারের ছেলে। মামলার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার মুকুল দফাদারের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শেরপুর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উলেখ করা হয়, র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মত জঘন্য অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।