বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি আওয়ামী লীগনেতা মো. শরাফত আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মো. শরাফত আলী (৪৫) শেরপুর সদর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের মৃত মোকসেদ আলী মাতবরের ছেলে। তিনি শেরপুর পৌর শাখা আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
র্যাব সূত্র জানায় চলতি বছরের ৪ আগস্ট শেরপুর শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণমিছিল বের হয়। ওই গণমিছিলে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এতে মো. সজিব মিয়া নামের একজন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
ওই হামলার ঘটনায় আহত সজিব মিয়ার ভাই মন্টু মিয়া বাদী হয়ে ২৯ আগস্ট শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৪। ধারা-১৪৩/১৪৪/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। মামলাটি দায়েরের পর র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি ছায়াতদন্তসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর কোম্পানির একটি আভিযানিক দল ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে শেরপুর জেলা সদর থানার মোবারকপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় ওই মামলার আসামি মো. শরাফত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে শেরপুর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মত জঘন্য অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।