বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাব সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণমিছিলে ঢাকাসহ সারা দেশে দুষ্কৃতিকারীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। ওই হামলায় ঢাকার মিরপুর এলাকায় আশরাফুল ইসলাম নামে একজন ছাত্র নিহত হয়। নিহতের ভাই মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ২২ সেপ্টেম্বর ডিএমপি মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেটির মামলা নম্বর ৩২ এবং ধারা-৩০২/১০৯/১১৪/১২০/১৪৩/১৪৮/১৪৯/১৫৩/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। একই আন্দোলনে শেরপুর সদর উপজেলা শহরে হামলার ঘটনায় ২০ আগস্ট শেরপুর সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলা নম্বর ১৬, দন্ডবিধির ধারা ১৪৩/১৪৪/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৪। মামলা দুটি দায়েরের পর র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি ছায়াতদন্ত শুরু করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করে।
র্যাব আরও জানায়, এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর কোম্পানির একটি আভিযানিক দল ২৪ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার তিনানী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার মিরপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারনামীয় আসামি মোশারফ হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ঝিনাইগাতী উপজেলার চিকাপাড়া মালিঝিকান্দা গ্রামের জামশেদ আলীর ছেলে। একই দিনে একই এলাকায় অপর দুটি অভিযানে শেরপুর সদর থানার হত্যাচেষ্টা মামলার তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (৩৮), একই উপজেলার হাসিলগাঁও গ্রামের আইজ উদ্দিনের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন (৩৯) এবং শেরপুর সদর উপজেলার ধানুয়াপাড়া গ্রামের মৃত ছবেদ আলী মন্ডলের ছেলে মো. হুমায়ূন কবিরকে (৬০)।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মত জঘন্য অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।