নবনিযুক্ত জামালপুর টাউন রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার দেওয়ান মো. হারুন অর রশীদ বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান লক্ষ্যই হলো যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি করা। যার বিনিময়ে রাজস্ব আদায়ও বাড়ে।
১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বাংলারচিঠিডটকমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন স্টেশন মাস্টার দেওয়ান মো. হারুন অর রশীদ।
তিনি আরও বলেন, আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো সর্বপ্রথম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া। জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনকে সারাদেশের মধ্যে এক নম্বরে নেয়াই হবে আমার চ্যালেঞ্জ। যাত্রীরা আগমনের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্টেশন পাবে, নির্গমনের সময়ও একই সেবা পাবে। একই সাথে অবস্থানের সময় শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে প্রত্যেক যাত্রী সুন্দর একটা পরিবেশ পাবে। যেখানে থাকবে হকারমুক্ত ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশ।
তিনি বলেন, কর্মরত স্টেশন মাস্টারের কার্যালয়ে ট্রেনের নানা তথ্যের জন্য যে জটলা হয়, সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ প্রতিটি ট্রেনের যাত্রীরা যেমন আধাঘণ্টা আগে থেকে স্টেশনে আসেন। ঠিক তেমনই আধাঘণ্টা আগে থেকেই প্রতিটি ট্রেনের ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে মাইকে। যাতে করে কর্মরত স্টেশন মাস্টারের কার্যালয়ে যাত্রীদের না আসতে হয়। হয়রানি যাতে না হন তারা। এটা হবে আমার যাত্রীসেবার প্রথম ধাপ।
দেওয়ান মো. হারুন অর রশীদ বলেন, যখন যাত্রীসেবার প্রথম ধাপে সফলতা আসবে, এরপর টিকিট কালোবাজারি রোধে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিবো। ওপেন টিকিট কালোবাজারি এটা কোনভাবেই থাকবে না। এটা বন্ধ হবেই। এ সময় সততা ও নিষ্ঠার সাথে প্রতিটি দায়িত্ব ও কর্তব্য যাথাযথভাবে পালন করা হবে বলে জানান তিনি। একই সাথে জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিচালনায় সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জামালপুর টাউন রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার শেখ মো. উজ্জ্বল মাহমুদকে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মেলান্দহ বাজার রেলওয়ে স্টেশনে বদলি করা হয়েছে। এতে পদটি শূন্য হয়। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এক আদেশে স্টেশন মাস্টার দেওয়ান মো. হারুন অর রশীদ ৯ অক্টোবর জামালপুর টাউন রেলওয়ে জংশন স্টেশনে যোগদান করেন। এর আগেই যাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে স্টেশনের প্রধান ফটকে জামালপুর টাউন রেলওয়ে জংশন স্টেশনের নামের পরিচিতি সাইনবোর্ডও টাঙানো হয়েছে।