জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলারকে মারধর করে টাকা ছিনতায়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী যুবনেতা শাহ আলমের বিরুদ্ধে।
১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের মহিষাবাদুরিয়া খলিলের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার ও ভাটারা ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফরহাদ খান, ভাটারা ইউনিয়ন বণিক দলের সাধারণ সম্পাদক আসলাম আনোয়ার, ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য রাশেদুল ইসলাম, ফরহাদ শেখ, সুজল মিয়া ও ফরিদ মিয়া।
আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার ফরহাদ খান তার সহযোগীদের নিয়ে ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপকারভোগীদের মাঝে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করেন। চাল বিক্রির পর টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভাটারা এলাকায় গিয়াস খানের ছেলে শাহ আলম তার লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করতে থাকেন। এ সময় তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে তাদের হাতে থাকা চাল বিক্রির টাকার ব্যাগ হামলাকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার ও ওয়ার্ড বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফরহাদ খান এ প্রতিবেদককে বলেন, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম টাকা ছাড়াই ২০ বস্তা চাউল দিতে বলে। নিষেধ করলে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়। পরে দলবল নিয়ে এসে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে মারধর করে। একপর্যায়ে চাল বিক্রির প্রায় ৯২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার বিচারের দাবি করেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ডিলারের কাছে ফ্রিতে চাউলের দাবি করা হয়নি। টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা একই ব্যক্তির কাছ থেকে ১০টি করে টিপ সই নিয়ে অসদোপায়ে চাল বিক্রি করছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করি। উল্টো তারাই অপমান অপদস্থ করে ডিলার পয়েন্ট থেকে বের করে দিয়েছে। পরে তারাই সংঘবদ্ধ হয়ে তাকে মারধর করেছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া বলেন, মারধর ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।