ইরান প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক অস্ত্রসহ ইসরাইলে ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এদিকে ইসরাইল এ হামলার প্রতিশোধ নেয়ার শপথ করেছে।
২ অক্টোবর বুধবার রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইরানি মিডিয়া ‘ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের’ অনলাইন ফুটেজ সম্প্রচার করেছে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস বলেছে, তেল আবিব ও অন্যান্য ঘাঁটির আশেপাশে ‘তিনটি সামরিক ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
রেভল্যুশনারি গার্ডস জানায়, ১ অক্টোবর মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।’
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরান তাদের ভূখণ্ডে প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার বেশিরভাগই ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ইরান ২০২৩ সালের জুনে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করে, যার শব্দের গতির চেয়ে ১৫ গুণ পর্যন্ত হাইপারসনিক গতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছিলেন অস্ত্রটি ইরানের ‘প্রতিরোধ ক্ষমতা’ বাড়িয়ে তুলবে এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোয় শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনবে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে একটি ‘বড় ভুল’ করেছে।
ইসরাইল গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার পর দেশটিতে এ হামলা চালানো হয়।
ইরানের চিফ অফ স্টাফ হুঁশিয়ারি করে বলেছেন, ইরানে হামলা চালানো হলে ইসরাইলের অবকাঠামোয় আঘাত হানবে তেহরান।