লেবাননের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার তাদের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে।
এর একদিন আগে ইসরাইল তারা এক বিমান হামলায় তাকে ‘খতম’ করেছে বলে দাবি করে। বৈরুত থেকে এএফপি জানায় হিজবুল্লাহ আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ তার মহান, অমর শহিদ সঙ্গীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে যাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে যে তিনি অন্য গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে ‘বৈরুতের দক্ষিণ শহরের কাছে বিশ্বাসঘাতক জায়নবাদি হামলায় শহিদ হয়েছেন।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এএফপির সাংবাদিকরা এক পথচারীকে ‘ওহ আল্লাহ’ বলে আহাজারি করতে শুনেছেন, আর হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এ খবর ঘোষণার পরপরই নারীরা রাস্তায় নেমে মাতম করছিলেন।
এই ক্যারিশম্যাটিক ধর্মীয় নেতার মৃত্যুর খবরে বৈরুতে বন্দুকের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এএফপির একজন সংবাদদাতা রাস্তায় কালো বোরকা পরা এক নারীকে চিৎকার করে বলতে শুনেছেন, ‘ওদের বিশ্বাস করবেন না, ওরা মিথ্যা বলছে, সাইয়িদ (নাসরুল্লাহ) ভালো আছেন’।
২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের যুদ্ধের পর এটি সবচেয়ে তীব্র হামলা। বৈরুতের দক্ষিণ ও এর কাছে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে শনিবার রাত জুড়ে ইসরাইলি বিমান ব্যাপক গুলি বর্ষণ করে। ২০০৬ সাল থেকে নসরাল্লাহকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি বলা চলে।
ইসরাইলি হেলিকপ্টার গানশিপে তার পূর্বসূরি আব্বাস আল-মুসাভি নিহত হওয়ার পর ১৯৯২ সালে ৩২ বছর বয়সে তিনি হিজবুল্লাহর মহাসচিব নির্বাচিত হন।সূত্র:বাসস।