২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে কানপুরের গ্রিন পার্কে ভারতের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ব্যাটারদের কাছ থেকে ভালো ব্যাটিং পারফরমেন্স চান বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সাকিবের মতে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভালো ব্যাটিং ম্যাচের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়।
২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কানপুরে সাংবাদিকদের সাকিব বলেন, ‘চেন্নাই টেস্ট সাড়ে তিন দিনে শেষ হয়েছে যা আমাদের জন্য আদর্শ নয়। আমি মনে করি আমরা এমন পরিস্থিতিতে সত্যিই ভাল খেলেছি। তবে ফলাফল যা হয়েছে তার চেয়েও আমরা ভাল দল। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে পরের টেস্টে নিজেদের প্রমানের আরেকটি সুযোগ থাকছে।’
চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে ১৪৯ রানে অলআউট হয়েছিলো বাংলাদেশ। পরবর্তীতে আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ২৮০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিলো টাইগাররা।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৫০ থেকে ৪০০ রান করলে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে। সাকিব বলেন, ‘যদি শুধুমাত্র ব্যাটিং নিয়ে কথা বলি তাহলে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। প্রথম ইনিংসে আমরা ১৪৯ রানে অলআউট হয়েছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা ২৩৪ রান করেছিলাম। ভারতের শক্তিশালী বোলিংয়ে কথা বিবেচনায় এটি ভাল লক্ষণ।’
পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। তবে শক্তি ও অভিজ্ঞতার বিচারে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পার্থক্য আছে বলে জানান সাকিব।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান তুলনামূলকভাবে একটি অনভিজ্ঞ দল ছিল। এমনকি দল হিসাবে আমরা পাকিস্তানের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ ছিলাম এবং এটি অনেক বড় বিষয় ছিল। ভারতের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা। যদিও তারা ঘরের মাঠে অজেয়। তাদের বোলিং এবং ব্যাটিং গভীরতা আছে। বিদেশেও ভালো করছে ভারত। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে ভারত। যেকোন দেশই ভারতকে সবসময় কঠিন প্রতিপক্ষ মনে করে এবং আমরাও এর ব্যতিক্রম নই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, এখন ভারত সফরই সবচেয়ে কঠিন। অন্য দলগুলো তাদের মাঠে এক বা দু’টি ম্যাচ হেরে যেতে পারে, কিন্তু আমরা খুব কমই দেখি যে ভারত তাদের নিজেদের মাঠে টেস্ট হারছে।’
তবে সাকিব মনে করেন, বাংলাদেশ যদি সত্যিই ভালো খেলতে পারে তাহলে ভারতকে চাপে ফেলতে পারবে।