জামালপুর জিলা স্কুলের প্রভাতী শাখার দশম শ্রেণির ছাত্র সৈয়দ রবিউল সানি তূর্য সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। তার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্কুলের সামনে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখে দশম শ্রেণির ছাত্র রেদওয়ান খন্দকার মাহিন, মাহমুদুল হাসান ইমন ও সৈয়দ তামিম প্রমুখ।
বক্তারা দশম শ্রেণির ছাত্র সৈয়দ রবিউল সানি তূর্যর উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানায়। একই সাথে হামলাকারী একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির প্রভাতী শাখার ছাত্র ইকবাল হোসেন পূর্ণকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় তারা।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসী হামলাকারী ইকবাল হোসেন পূর্ণকে স্কুল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জামালপুর জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ। হামলায় গুরুতর আহত সৈয়দ রবিউল সানি তূর্যর মা পারভিন রশিদ বাদী হয়ে হামলাকারী ইকবাল হোসেন পূর্ণকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ইকবাল হোসেন পূর্ণ জামালপুর শহরের মনিরাজপুর এলাকার মো. ফজলুর ছেলে।
জামালপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হালিমা খাতুন এ প্রতিবেদককে বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে সৈয়দ রবিউল সানি তূর্য ও ইকবাল হোসেন পূর্ণদের মধ্যে স্কুলে একটি ক্যান্টিন স্থাপনের দাবি নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে স্কুলে মারামারি করে দু’পক্ষ। সেই মারামারির জের ধরে ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের বকুলতলা পাবলিক লাইব্রেরির সামনে ইকবাল হোসেন পূর্ণ ধারালো অস্ত্র দিয়ে রবিউল সানি তূর্যকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তার বাম গাল ও গলা থেকে পেট পর্যন্ত মারাত্মকভাবে কেটে গেছে। তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
প্রধান শিক্ষক হালিমা খাতুন আরও জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে এক জরুরি সভায় সন্ত্রাসী হামলাকারী অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ইকবাল হোসেন পূর্ণকে বিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ছাত্রদের সতর্কও করা হয়েছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।