লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটিতে ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দ্বিতীয় দফা ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত এবং ৪শ’ ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, এই হামলার ফলে ইসরাইলের সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা জেগে ওঠেছে।
হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের সদস্যদের ব্যবহৃত ওয়াকি-টকি বৈরুতে শক্তিশালী ঘাঁটিতে বিস্ফোরিত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বে ও একই ধরনের বিস্ফোরণের খবর জানিয়েছে।
এএফপি টিভির ফুটেজে দেখা গেছে, বিকেলে দক্ষিণ বৈরুতে নিহত হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের জানাজা চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটলে লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটাছুটি করছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ওয়াকি টকিকে লক্ষ্য করে শত্রুর বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত এবং ৪ শ’ ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।’
হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত কয়েকশ’ ওয়াকিটকি একযোগে বিস্ফোরণে লেবানন জুড়ে দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত এবং ২ হাজার ৮শ’ জনের মতো আহত হয়। হিজবুল্লাহ এ ধরনের নজিরবিহীন হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে। অবশ্য এ হামলার ব্যাপারে ইসরাইলের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার একটি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনকালে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ‘মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র উত্তর দিকে সরে যাচ্ছে।’ ‘আমরা যুদ্ধের একটি নতুন পর্বের শুরুতে আছি।’
টেলিভিশন নিউজ বুলেটিন এবং সংবাদপত্রের শিরোনামে আধিপত্য বিস্তারকারী বিস্ফোরণের বিষয়ে ইসরাইলি কর্মকর্তারা মুখ খোলেননি।
বামপন্থী হারেৎজ পত্রিকার আমোস হারেল বলেছেন, পেজার এবং ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ ‘ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহকে সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে’ ঠেলে দিচ্ছে।