জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম বলেছেন, যমুনা সার কারখানার ওভারহোলিংয়ের নাম করে কয়েক কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন। লোড-আনলোড খাতে চাঁদা আদায় করতো তারা। এটি বন্ধ করে দিয়েছি আমরা। সার কারখানায় আর কোনো চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবেনা। বিগত দিনে এই অপরাধের সাথে যারা জড়িত ছিলো তাদেরকে চিহ্নিত করে তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সংযোগের দাবিতে সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গদল আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর উন্নয়নের নাম করে শুধু লুটপাট করেছে। যমুনা সার কারখানাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে দাঁড় করিয়েছে। গ্যাস সংকটের অজুহাতে যমুনায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম বলেন, সার কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন না করে বেশি দামে বিদেশ থেকে সার আমদানি করতো আওয়ামী লীগ সরকার। এখানে তাদের লোক দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করার সুযোগ করে দিতো। যমুনায় কে কে এই লুটপাটের সাথে যুক্ত ছিলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে বিদেশি সার এনে যমুনাকে গোডাউন বানাতে চেয়েছিল তারা। তাদের এই ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়ন হতে দেবে না এই এলাকার সাধারণ মানুষ।
তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলের কৃষক যমুনা সারের ওপর নির্ভরশীল। দীর্ঘদিন ধরে যমুনায় গ্যাস সংকট দেখিয়ে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। যমুনা সার কারখানাকে বাঁচাতে গ্যাস সরবরাহ জরুরি হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের গত ১৫ জানুয়ারি সংকটের অজুহাতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ প্রায় আট মাস কারকানায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় যমুনার বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ বিনষ্ট হয়ে পড়ার আশষ্কা দেখা দিয়েছে। অনতিবিলম্বে যমুনায় গ্যাস সংযোগ প্রদান না করলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ার দেন মানববন্ধন অংশ নেওয়া বক্তারা।
এতে বক্তব্য রাখেন যমুনা সারকারখানা (সিবিএ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি চান মিয়া চানু, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ ফকির, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান আদম, রাশেদুজ্জামান লিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কর্মসূচিতে সার কারখানার কয়েকশ’ শ্রমিক-কর্মচারী ও সার ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।