আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ খানিকটা দোলাচলে। যার প্রভাব পড়েছে বিনোদন জগতেও। দুই দেশের ভিসা জটিলতার প্রভাব পড়ছে দুই বাংলার সিনেমাতেও। কাজ আটকে গেছে একাধিক সিনেমার। ভিসা না পাওয়ার কারণে ওপার বাংলার নায়ক দেবের নায়িকা হিসাবে কাজ করা হয়নি এপার বাংলার তাসনিয়া ফারিণের। পরীমনিও ‘ফেলুবকশি’ নামে একটি সিনেমার বাকি থাকা অংশের শুটিং করতে যেতে পারছেন না।
একই চিত্র ওপার বাংলায়ও। ভিসা জটিলতায় স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো টলিউড নায়িকারাও বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। চলতি মাসেই বাংলাদেশে এসে সিনেমার শুটিং শুরু করার কথা ছিল ঋতুপর্ণা, স্বস্তিকার। কিন্তু ঢাকায় এসে শুটিং করার জন্য ওয়ার্ক পারমিটের আবেদনে সাড়া পাচ্ছেন না টলিউড নায়িকারা, মেলেনি ভিসাও।
বাংলাদেশি পরিচালক হিমু আকরামের ‘আলতাবানু জোছনা দেখেনি’ সিনেমাতে লিড চরিত্রে কাজ করছেন স্বস্তিকা। গত সপ্তাহেই সেই সিনেমার শুটিং শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু সম্ভব হয়নি। সিনেমাটির পরিচালক হিমু আকরাম বলছেন, ‘সেপ্টেম্বরের শুরুতেই শুটিংয়ের পরিকল্পনা রেখেছিলাম। আমাদের সব কিছুই প্রস্তুত, কিন্তু স্বস্তিকা মুখার্জি কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে কাজ করবে, ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করে রেখেছি, পাচ্ছি না। ভিসা প্রসেসিংয়েরও একটা জটিলতায় পড়ে গিয়েছি। তাই সিনেমাটি শুরু করা যাচ্ছে না। শুটিং আরও দুই মাস পেছাতে হচ্ছে।’
অন্যদিকে, অগাস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে রাশিদ পলাশের পরিচালনায় ‘তরী’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিতে ঢাকায় আসার কথা ছিল পশ্চিবমবঙ্গের তারকা অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। কিন্তু সেখানেও ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা সমস্যা বাধ সেধেছে। রাশিদ পলাশ বলছেন, ‘দুই বাংলার কাজের ক্ষেত্রে কোনো সংকট তৈরি হোক আমরা তা চাই না। আমার মনে হয় খুব দ্রুতই সংকট কেটে যাবে এবং আশা রাখছি কাজটিও ভালো করেই শেষ করতে পারব।’
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে অন্তর্বতীকালীন সরকার। এরপরই দুই দেশের ভিসা নীতিতে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। যে কারণে দুই বাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রভাব পড়েছে।