ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার জামালপুরে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি শেখ হাসিনা বর্তমানে কোথায় আছেন তা সরকার নিশ্চিত নয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জামালপুরে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড মিনি ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন বকশীগঞ্জে ডিবি-২ এর অভিযানে ২৪ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার, আটক ১ বকশীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ৭ আসামি গ্রেপ্তার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন জন জে. হপফিল্ড ও জিওফ্রে ই. হিন্টন বুধবার শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু কমলা হ্যারিস: ‘অবশ্যই’ আমি আমার গ্লককে বরখাস্ত করেছি শেষ ম্যাচ জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো আয়ারল্যান্ড

শেরপুরের জেল পলাতক কয়েদি আমিনুল বদর র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আমিনুল ইসলাম বদর। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আমিনুল ইসলাম বদর ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আমিনুল ইসলাম বদরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তিনি শেরপুর জেলা সদর উপজেলার বয়রা গ্রামের জয়নুদ্দিন বেপারীর ছেলে। র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরের একটি আভিযানিক দল ১১ সেপ্টেম্বর রাতে এ অভিযান পরিচালনা করেন। র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে কয়েক হাজার দুষ্কৃতিকারী শেরপুর জেলা কারাগারে আক্রমণ করে। এ সময় আক্রমণকারীরা বিবিধ স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধনসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কয়েদিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।

জেল থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি, শেরপুর জেলা কারা কর্তৃপক্ষ এবং শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা পলাতক কয়েদিদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে আসছে র‌্যাব-১৪। ইতিমধ্যে পলাতক আসামিদের কয়েকজন র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

র‌্যাব সূত্র জানায়, জেল পলাতক কয়েদি (নং-৭৮২২/এ) আমিনুল ইসলাম বদর ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক দুটি মামলায় (নং ১১৯/২৩, ৪২৭/২২) আট মাস চার দিনের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। ৫ আগস্ট শেরপুর জেলা কারাগারে দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণের সময় পালিয়ে এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

এদিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেল পলাতক কয়েদি শামীম মিয়ার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল। অভিযানের সময় রাত সোয়া ১১টার দিকে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে এবং স্কোয়াড কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ টি এম আমিনুল ইসলামের উপস্থিতিতে র‌্যাবের দলটি শেরপুর সদর উপজেলার বয়রা গ্রাম থেকে কয়েদি শামীম মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য তাকে শেরপুর সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলাম বদর ৫ আগস্ট শেরপুর জেলা কারাগারে দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণের ঘটনার সময় অন্যান্য কয়েদিদের সাথে কৌশলে কারাগার থেকে পালিয়ে শেরপুর জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। জেল পলাতক এসব হাজতি ও কয়েদিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, র‌্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র‌্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মত জঘন্য অপরাধ কর্মকাণ্ড দমনের লক্ষ্যে র‌্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

শেরপুরের জেল পলাতক কয়েদি আমিনুল বদর র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১১:৪০:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আমিনুল ইসলাম বদর ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আমিনুল ইসলাম বদরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তিনি শেরপুর জেলা সদর উপজেলার বয়রা গ্রামের জয়নুদ্দিন বেপারীর ছেলে। র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরের একটি আভিযানিক দল ১১ সেপ্টেম্বর রাতে এ অভিযান পরিচালনা করেন। র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে কয়েক হাজার দুষ্কৃতিকারী শেরপুর জেলা কারাগারে আক্রমণ করে। এ সময় আক্রমণকারীরা বিবিধ স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধনসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কয়েদিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।

জেল থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানি, শেরপুর জেলা কারা কর্তৃপক্ষ এবং শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা পলাতক কয়েদিদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে আসছে র‌্যাব-১৪। ইতিমধ্যে পলাতক আসামিদের কয়েকজন র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

র‌্যাব সূত্র জানায়, জেল পলাতক কয়েদি (নং-৭৮২২/এ) আমিনুল ইসলাম বদর ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক দুটি মামলায় (নং ১১৯/২৩, ৪২৭/২২) আট মাস চার দিনের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। ৫ আগস্ট শেরপুর জেলা কারাগারে দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণের সময় পালিয়ে এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

এদিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেল পলাতক কয়েদি শামীম মিয়ার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল। অভিযানের সময় রাত সোয়া ১১টার দিকে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে এবং স্কোয়াড কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ টি এম আমিনুল ইসলামের উপস্থিতিতে র‌্যাবের দলটি শেরপুর সদর উপজেলার বয়রা গ্রাম থেকে কয়েদি শামীম মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য তাকে শেরপুর সদর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলাম বদর ৫ আগস্ট শেরপুর জেলা কারাগারে দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণের ঘটনার সময় অন্যান্য কয়েদিদের সাথে কৌশলে কারাগার থেকে পালিয়ে শেরপুর জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। জেল পলাতক এসব হাজতি ও কয়েদিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, র‌্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র‌্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মত জঘন্য অপরাধ কর্মকাণ্ড দমনের লক্ষ্যে র‌্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।