জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার শালচূড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৭ বোতল বিদেশি মদসহ তিনজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। ২ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আটক মাদক কারবারিরা হলেন ঝিনাইগাতী উপজেলার ডাকাবর গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. ফারুক আহম্মেদ (৩২), একই উপজেলার সাংগাও গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. সাকিল মিয়া (২৮) ও ঝিনাইগাতী গ্রামের মো. আব্দুল. মজিদের ছেলে মো. শাহিনুর ইসলাম (২৮)।
র্যাব জানায়, জামালপুর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল ২ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা হাসপাতালের সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার শালচূড়া আলহাজ এস এম এ ওয়াজেদ নাইম মডেল কলেজ গেটের সামনে পাকা রাস্তায় অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারি মো. ফারুক আহম্মেদ, মো. সাকিল মিয়া ও মো. শাহিনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের দেহ তল্লাশি করে দুটি বস্তা ও একটি কার্টুনের ভেতরে ৩৭ বোতল বিদেশী মদ, একটি এন্ড্রয়েড ফোন সেট ও সিমসহ দুটি বাটন ফোনসেট জব্দ করা হয়। জব্দ করা বিদেশি মদের আনুমানিক মূল্য এক লাখ তেইশ হাজার টাকা।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া মাদক কারবারিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভারতীয় আমদানিনিষিদ্ধ মদ সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিলেন। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় মাদারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সাথে তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আসামি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গী ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকাণ্ডে বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় হত্যার মত জঘন্য অপরাধ কর্মকাণ্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।