মো. আলমগীর
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে বাড়িঘরে হামলা লুটপাট অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী নুপুর ও তার পরিবার। ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে স্থানীয় বালুআটা গ্রামে নুপুর খাতুনের ভাই রবিউল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালুআটা গ্রামের ভুক্তভোগী নুপুর খাতুনের বাবা আব্দুর রহমান বেঁচে নেই। তার মায়ের নাম সুফিয়া বেগম (৫২)। ভাই রবিউল ইসলাম সোহেল ঢাকায় চাকরি করেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ মকবুল হোসেনের ছেলে জয়নাল মিয়ার নেতৃত্বে নাঈম মিয়া, আশরাফ, আব্দুল রাজ্জাক, মো. এরশাদ মিয়া সিয়াম, খোদেজা বেগমসহ একদল লোক নুপুরদের বাড়িঘরে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা দুটি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করলে তা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা বাক্স থেকে দুই ভরি স্বর্ণের গয়না, নগদ এক লাখ টাকা, জমির কাগজপত্র, মোবাইল ফোনসেট ও লেপ-তোষক লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও হামলাকারীরা ৬০টি মেহগনি গাছের চারা ও পাঁচটি সুপারিগাছ কেটে নিয়ে যায়। ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।
ভুক্তভোগী নুপুর খাতুন অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার বাবা বেঁচে নেই। ভাই রবিউল ইসলাম সোহেলও বাড়িতে থাকেন না। তিনি ঢাকায় চাকরি করেন। বাড়িতে আমি আমার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকি। এই সুযোগে প্রতিপক্ষ জয়নাল মিয়া ও তার লোকজন আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে নিঃস্ব করে দিয়েছে। হামলাকারীরা আমার মা সুফিয়া বেগমকেও নির্যাতন করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আমার মা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমি এ হামলা, নির্যাতনের ঘটনার বিচার চাই।
ভুক্তভোগী নুপুরদের প্রতিপক্ষ জয়নাল মিয়ার পক্ষের মো. জামাল মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা তাদের বাড়িতে সকালে যাই মীমাংসা করার জন্য কিন্তু তারা রাজি না হওয়ায় আমরা চলে আসি। চলে আসার পরপরই তারা তাদের সবগুলি ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা নুপুরদের বাড়িঘরে কোন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ বা কোন প্রকার লুটপাট করি নাই।
স্থানীয় নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম এ প্রতিবেদককে বলেন, বালুআটায় নুপুরদের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আমি ও সেনাবাহিনীসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় এখনও অভিযোগ পাইনি। কেউ কোন অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।