মো. আলমগীর
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম
সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল হক বলেছেন, এখন পর্যন্ত পঞ্চাশ হাজার মুক্তিযোদ্ধার তালিকা পেন্ডিং আছে। মুক্তিযোদ্ধা তৈরির কি কোনো ফ্যাক্টরি আছে? এটা কি কোন কাপড়ের ফ্যাক্টরি? যে হতেই আছে হতেই আছে। দেশে কোন ফ্যাক্টরি নেই যে মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করা হয়।
২ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে জামালপুর শহরের মিয়াপাড়া ওয়্যারলেস এলাকায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আয়োজিত এক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল হক।
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দানকারী সকল মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যারা জীবন দিয়েছে। যারা পঙ্গু হয়েছে। তাদের গভীরভাবে স্মরণ করছি। আমরা বহুবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার কারণে তা করতে পারিনি। আমি একজন বীর উত্তম প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আমাকেই বাংলাদেশে মূল্যায়ন করেনি। আর আপনাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক বলেন, নবীর জামানায় মিথ্যার বিলুপ্তি হয়ে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৭৪ বছর পরে মিথ্যাওয়ালারা কোথায় আছে। তারা দেশের দুই লাখ কোটি টাকা বিদেশে প্রাচার করেছে। দেশে এখন শুদ্ধি অভিযান চলছে। আমরাও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এই শুদ্ধি অভিযান চালাবো। শতভাগ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের নাম পার্লামেন্টে প্রকাশ করাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও মর্যাদার সুস্পষ্ট সংজ্ঞা সংরক্ষণ করার দাবি জানান তিনি।
জামালপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান হিরুর সঞ্চালনায় সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন, মো. নাজিমুদ্দিন, মো. আলাল উদ্দিন, মো. জাহাঙ্গীর আলম বাবুল, মো. আবুল হোসেন ও মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভায় জামালপুর জেলার সকল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন।