লিয়াকত হোসাইন লায়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ইসলামপুর, বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পার্থশী ইউনিয়নের মলমগঞ্জ মডেল কলেজটি দুই যুগেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের ২৬ জন মানবেতর জীবনযাপন করছে। অধ্যক্ষ, প্রভাষক ও অফিস সহকারীসহ কয়েজন মারা গেছে, অনেকে আবার এলপিআরেও চলে গেছেন।
জানা গেছে, উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উচ্চ মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, মাদরাসা ও স্কুল এন্ড কলেজ মিলে মোট ১১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পার্থশী ইউনিয়নে ২০০১ সালে মলমগঞ্জ মডেল কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়। পশ্চিম এলাকায় একমাত্র বিশাল ভবন, টিনশেড বারান্দাসহ প্রশস্ত মাঠ, মনোরম ও নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে বর্তমানে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি মিলে ৩৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। প্রভাষক ও কর্মচারী ২৬ জন নিয়ে কলেজটি পরিচালনা হয়ে আসছে। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার ক্ষমতায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন ভবন নেই শুধু স্কুল এন্ড কলেজ প্রস্তাবনাকেই সরকারি অনুমোদন এমপিও করা হয়েছে। অথচ মলমগঞ্জ মডেল কলেজটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও কেন এমপিওভুক্ত হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকাবাসী।
সরকারি ইসলামপুর কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস শফিউল্লাহ বুলবুল জানান, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। কেন এমপিও হলো না সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ছামিউল হক শামীম জানান, প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করার জন্য সাবেক ধর্মমন্ত্রী মহোদয়কে বার বার বলেছি কোন কাজ হয়নি ।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, ইসলামপুরে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে ৩৪টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। মলমগঞ্জ মডেল কলেজটি কেন এমপিওভুক্ত হয়নি বিষয়টি জানিনা।