জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু
নিজস্ব প্রতিবেদক, বকশীগঞ্জ, বাংলারচিঠিডটকম
কোটা সংস্কার আন্দোলনের রেশ ধরে ডাকা অসহযোগ কর্মসূচি চলাকালে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, হাইওয়ে থানার পিকআপ ও এক ইউপি চেয়ারম্যানের প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করার খবর পাওয়া গেছে। ৪ আগস্ট রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিআরসেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এসব ঘটনায় এতে করে থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে বকশীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ও জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে বকশীগঞ্জ এন এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভকারীরা মালিবাগ মোড়ে গিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুর শেষে উপজেলা পরিষদের সমবায় কার্যালয়, যুব উন্নয়ন কার্যালয়, আইসিটি দপ্তর ও পাট অধিদপ্তরে ব্যাপক হামলা চালানো হয় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে থাকা বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম প্রামাণিকের প্রাইভেট কারে অগ্নিসংযোগ করে। পরে সেখান থেকে ফিরে গিয়ে পুনরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ তিনটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা ফের উপজেলা পরিষদে হানা দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের জানালা ভাংচুর করে এবং বকশীগঞ্জ হাইওয়ে থানার পিকআপ ভ্যান পুড়িয়ে দেয়। বর্তমানে বকশীগঞ্জে থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। বকশীগঞ্জ পৌর শহরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ডিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্কবস্থায় রয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান এ প্রতিবেদককে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ছয় রাউন্ড টিআরসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে পরিস্থতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।