মাহমুদুল হাসান মুক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম
সারাদেশে গণগ্রেপ্তার, নিরীহ ছাত্র-জনতা হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে জামালপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণে ১০ জন শিক্ষার্থীসহ পথচারী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ৩ আগস্ট শনিবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জামালপুর শহরের দড়িপাড়া বাইপাস মোড়ে সমবেত হয়। পরে তারা সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জামালপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল হয়ে নতুন বাইপাস ধরে মির্জা আজম চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ঘিরে রেখে তাদেরকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
কিন্তু দুপুর দেড়টার দিকে আইনশৃংখলা বাহিনীর ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষার্থীরা আবারও বিক্ষোভ মিছিল বের করে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ হয়ে শহরের বকুলতলার দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ শহরের নতুন হাইস্কুল মোড়ে তাদের বাধা দেয়। একই সময়ে শহরের বকুলতলায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধে মাঠে নামে। শিক্ষার্থীদের মিছিলটি নতুন হাইস্কুল মোড়ে গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা খান বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, শিক্ষার্থীদের আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার কথা বললেও তারা আমাদের কথা শুনেনি। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মুখোমুখি অবস্থানকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এড়াতে টিয়ারশেল ও ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সারা শহরে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা যেকোনো নাশকতা এড়াতে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।