
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় কিশোরী ধর্ষণের মূল আসামি মো. নাঈমকে (২২) গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-১৪ জামালপুর ও র্যাব-১ গাজীপুর ক্যাম্পের যৌথ আভিযানিক দল ১৩ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের বোর্ড বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মো. নাঈম জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মহিরামকুল পূর্বপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
১৪ জুলাই সকালে র্যাবের জামালপুর ক্যাম্প থেকে পাঠানো কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, মো. নাঈম ঢাকায় চাকরি করেন। ভুক্তভোগী কিশোরী প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে তার সাথে প্রায় দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে নাঈমের। ওই কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বাড়ি থেকে কৌশলে বাইরে নিয়ে গত ২৪ জুন রাত ১১টার দিকে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মহিরামকুল গ্রামের স্থানীয় এক বাঁশঝাড়ের নিচে ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে নাঈম। তখন ওই কিশোরী ডাক-চিৎকার করলে আসামি দৌড়ে পালিয়ে যায়। তারপর কিশোরী বাড়ি ফিরে তার মাকে ও পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি বলে। পরবর্তীতে ওই ভুক্তভোগীর মা ৩ জুলাই মেলান্দহ থানায় হাজির হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, ঘটনার পর থেকে এজাহারভুক্ত আসামি মো. নাঈম গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্প ও র্যাব-১ গাজীপুর কোম্পানির যৌথ আভিযানিক দল ১৩ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটের দিকে জিএমপি গাজীপুর গাছা থানাধীন বোর্ড বাজারের বছির মার্কেটের ইমন ওয়ার্কশপের সামনে থেকে পলাতক আসামি মো. নাঈমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব আরও জানায়, আসামিকে মেলান্দহ থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।