
মুত্তাছিম বিল্লাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, মেলান্দহ, বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ৭টি চোরাই গরু ও চুরির জন্য ব্যবহৃত একটি গাড়ি রেখে পালিয়েছে সংঘবদ্ধ চোরচক্র। ২৬ জুন বুধবার সকালে উপজেলার জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের মালঞ্চ বজরদ্দিপাড়া মসজিদের পাশে গাড়ি ও চোরাই গরুগুলো রেখে পালিয়ে যায় চোরচক্রটি। ঘটনাস্থল থেকে চোরাই গরু ও গাড়ীটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ২৫ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাদারগঞ্জ উপজেলার মিলন বাজার এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে রেজাউল করিমের গোয়াল ঘর থেকে চারটি গরু বের করে ট্রাক গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা করে। এ সময় এলাকার লোকজন ট্রাকটিকে ধাওয়া করে। পরে একটি মোটরসাইকেল দিয়ে ট্রাকটির পিছু নিয়ে ভেলামারি এলাকায় মোটরসাইকেল দিয়ে ট্রাকটির পথ রোধ করে। চোরাই গরু নিয়ে ট্রাকটি মোটরসাইকেল এর উপর চালিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার ছেচড়িয়ে নিয়ে যায়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ট্রাকটির ইঞ্জিনের নিচে ছিদ্র হয়ে মোবিল পড়তে থাকে। পরে চোরচক্রটি মেলান্দহ উপজেলার মালঞ্চ বজরদ্দিপাড়া মসজিদের পাশে গাড়িটি রেখে পালিয়ে যায়।
এদিকে, বুধবার ভোরে গাড়িটি মেলান্দহ উপজেলার বজরদ্দিপাড়া মসজিদের পাশে একটি ট্রাক গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। ট্রাকের মধ্যে কোন মানুষ না থাকায় স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ জাগলে ট্রাকের মধ্যে ৪টি বড় গরু, দুইটি বাছুর গরু ও একটি মৃত গাভী দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চোরাই গরুগুলো ও ট্রাক গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। চোরাই গরু ও গাড়ি উদ্ধারের খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গরুগুলোর মালিক মেলান্দহ থানায় এসে গরুগুলো শনাক্ত করেন।
চুরি হওয়া গরুগুলোর মধ্যে মাদারগঞ্জ উপজেলার পলিশা বাজিতেরপাড়া এলাকার সিরাজ প্রামানিকের ছেলে কৃষক সাইফুল ইসলামের একটি গরু, চরভাটিয়ারি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আজিজলের ২টি গরু ও মতিবর রহমানের ছেলে শাহ জালালের ৪টি গরু।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মদ বলেন, চোরাই গরু ও ট্রাক গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। একটি গরু মারাও গেছে। গরুর মালিক শাহ জালাল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। চোরচক্রটিক্র গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।