
মাহমুদুল হাসান মুক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সড়ক ভবনে শেরপুর-জামালপুর বনগাঁও ব্রহ্মপুত্র সেতুর টোল ইজারার দরপত্র ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। ২০ জুন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সড়ক ও জনপথ ভবনের তৃতীয় তলায় সহকারী প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেনের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মো. মোবারক হোসেনসহ অফিস সহকারী লক্ষ্মী রানীকে লাঞ্ছিত করেছে দুর্বৃত্তরা।
জানা গেছে, শেরপুর-জামালপুর বনগাঁও ব্রহ্মপুত্র সেতুর টোল আদায়ের ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয় ১১ জুন মঙ্গলবার। ২০ জুন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, বেলা ১২টা ২০ মিনিটে বাক্সে একটি দরপত্র জমা পড়ে। বেলা সাড়ে ১২টার পর দরপত্র বাক্স খুলে দরপত্রটি নিয়ে আমার কক্ষে নিয়ে আসা হয়। দরপত্রটিতে স্মারক নম্বর দেওয়ার সময় ছয় থেকে সাতজন দুর্বৃত্ত এসে অতর্কিত হামলা করে দরপত্রটি ছিনতাই করে। এ সময় তারা আমাকে ও অফিস সহকারী লক্ষ্মী রানীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে কেটে পড়েন।
তিনি আরও জানান, গত অর্থ বছরে এই সেতুটি টোল আদায়ের ইজারা মূল্য ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এদিকে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ সড়ক ভবনে পৌঁছার আগেই সেতু ইজারার দরপত্র ছিনতাইকারী দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সড়ক ভবনে দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনাটি জানাজানি হলে উৎসুক ঠিকাদার, ইজারাদার ও স্থানীয় লোকজনরা সেখানে ভিড় করেন।
জামালপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নওয়াজিস রহমান বিশ্বাস বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, দুর্বৃত্তরা এসে অফিসের স্টাফদের লাঞ্ছিত করে সেতু ইজারার একটি দরপত্র ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। থানায় অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, বিষয়টি শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আমরা এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিবো।