ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’ বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র পুরো সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার : জয়নুল আবদীন ফারুক পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৬০ বছরের ইতিহাসে পুলিশ এত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি : পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম হাটচন্দ্রায় মাকে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার ইসলামপুরে এক মাদরাসা শিক্ষক বহিষ্কার গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমানো হয়েছে : রিজওয়ানা ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চান নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না গাজা উপত্যকায় গত দিনে ইসরাইলি হামলায় ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত

ঈদুল আজহা : টুং টাং শব্দে মুখরিত জামালপুরের কামারশালাগুলো

মাতৃসদন রোডের কামার সেলিমের কামারশালায় চলছে লোহার ধারালো অস্ত্র বানানোর কাজ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাতৃসদন রোডের কামার সেলিমের কামারশালায় চলছে লোহার ধারালো অস্ত্র বানানোর কাজ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মো. আলমগীর
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দু’দিন। কোরবানির পশু জবাই এবং মাংস কাটার জন্য দিন-রাত একাকার করে জামালপুরের কর্মকাররা ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বঁটি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো। ১৪ জুন শুক্রবার বিভিন্ন কামারশালা ঘুরে দেখা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাহিদা বেড়েছে বিভিন্ন লোহার সামগ্রীর।

দিন যতই যাচ্ছে, ততই বাড়ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা। ঈদুল আজহায় গরু, ছাগল, মহিষ, উট কোরবানির পশু হিসেবে জবাই করা হয়। ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কোরবানির পশু জবাই করা হয়ে থাকে। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বটি, ছুরি, ধামা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব ধারালো অস্ত্র অপরিহার্য। যেহেতু কোরবানির পশু কাটা-কাটিতে চাই এসব ধারালো অস্ত্র। তাই তো কামাররা এখন এসব তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

১৪ জুন শুক্রবার পৌরসভার বগাবাইদ বোর্ড বাজার এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কামার দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কর্মকাররা। কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে এসব কামারের দোকান। দম ফেলারও যেন সময় নেই তাদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন তারা। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে কেউ কেউ সন্ধ্যা পর্যন্ত, আবার কেউ গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও এই ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারদের।

সকাল বাজার মাতৃসদন রোডের কামার সেলিমের সাথে কথা বলে জানা যায়, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, দা ৪৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বঁটি ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কেজি ও লোহার উপরে নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করা হয়।

আগে যেসব দোকানে দু’জন করে শ্রমিক কাজ করতেন, এখন সেসব দোকানে ৩-৫ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন।

কামার দোকানদাররা অভিযোগ করে বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও লোহার দাম বেড়ে গেছে। ছুরি শান দেওয়ার জন্য ৫০ টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।

কামারের দোকানে চাপাতি বানাতে আসা মো. শাহিদুল ইসলাম শান্ত জানান, আর কয়দিন পর ঈদুল আজহা। তাই চাপাতি বানাতে কামারের দোকানে আসছি। আগে যে চাপাতি কিনতাম ৫১০ থেকে ৬৪০ টাকায়। সেই চাপাতি এখন নিজে লোহা দিয়ে বানিয়ে নিলাম ৮৫০ টাকা দিয়ে।

বটি বানাতে আসা সাইফুল মিয়া জানান, আগের চেয়ে দাম অনেক বেশি। আগে যে বটি বানাতাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়, সে বটি এখন বানাতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে। তবে কেজি প্রতি নিচ্ছে ৭০০ টাকা।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতে লোকজন ভিড় করছে কামারের দোকানে। কামারদের বেচা-কেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে বলে জানান ক্রেতারা।

অপরদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম অনেক বেশি নেয়া হচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’

ঈদুল আজহা : টুং টাং শব্দে মুখরিত জামালপুরের কামারশালাগুলো

আপডেট সময় ১১:১৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
মাতৃসদন রোডের কামার সেলিমের কামারশালায় চলছে লোহার ধারালো অস্ত্র বানানোর কাজ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মো. আলমগীর
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দু’দিন। কোরবানির পশু জবাই এবং মাংস কাটার জন্য দিন-রাত একাকার করে জামালপুরের কর্মকাররা ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বঁটি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো। ১৪ জুন শুক্রবার বিভিন্ন কামারশালা ঘুরে দেখা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাহিদা বেড়েছে বিভিন্ন লোহার সামগ্রীর।

দিন যতই যাচ্ছে, ততই বাড়ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা। ঈদুল আজহায় গরু, ছাগল, মহিষ, উট কোরবানির পশু হিসেবে জবাই করা হয়। ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কোরবানির পশু জবাই করা হয়ে থাকে। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বটি, ছুরি, ধামা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব ধারালো অস্ত্র অপরিহার্য। যেহেতু কোরবানির পশু কাটা-কাটিতে চাই এসব ধারালো অস্ত্র। তাই তো কামাররা এখন এসব তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

১৪ জুন শুক্রবার পৌরসভার বগাবাইদ বোর্ড বাজার এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কামার দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কর্মকাররা। কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে এসব কামারের দোকান। দম ফেলারও যেন সময় নেই তাদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন তারা। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে কেউ কেউ সন্ধ্যা পর্যন্ত, আবার কেউ গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও এই ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারদের।

সকাল বাজার মাতৃসদন রোডের কামার সেলিমের সাথে কথা বলে জানা যায়, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, দা ৪৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বঁটি ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কেজি ও লোহার উপরে নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করা হয়।

আগে যেসব দোকানে দু’জন করে শ্রমিক কাজ করতেন, এখন সেসব দোকানে ৩-৫ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন।

কামার দোকানদাররা অভিযোগ করে বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও লোহার দাম বেড়ে গেছে। ছুরি শান দেওয়ার জন্য ৫০ টাকা থেকে শুরু করে কাজের গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।

কামারের দোকানে চাপাতি বানাতে আসা মো. শাহিদুল ইসলাম শান্ত জানান, আর কয়দিন পর ঈদুল আজহা। তাই চাপাতি বানাতে কামারের দোকানে আসছি। আগে যে চাপাতি কিনতাম ৫১০ থেকে ৬৪০ টাকায়। সেই চাপাতি এখন নিজে লোহা দিয়ে বানিয়ে নিলাম ৮৫০ টাকা দিয়ে।

বটি বানাতে আসা সাইফুল মিয়া জানান, আগের চেয়ে দাম অনেক বেশি। আগে যে বটি বানাতাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়, সে বটি এখন বানাতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে। তবে কেজি প্রতি নিচ্ছে ৭০০ টাকা।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতে লোকজন ভিড় করছে কামারের দোকানে। কামারদের বেচা-কেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে বলে জানান ক্রেতারা।

অপরদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম অনেক বেশি নেয়া হচ্ছে।