ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাদারগঞ্জে ১৮ ঘণ্টা পর আরেক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৪, নিখোঁজ ১ জামালপুরে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মাদারগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপিত বকশীগঞ্জে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচি শুরু এপেক্স ক্লাব অব শেরপুরের ৩য় এজিএম ও ক্লাব বোর্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত পাররামরামপুর ইউনিয়নে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত মাদারগঞ্জে বৃক্ষরোপণ, ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা ইসলামপুরে অসময়ে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে দিশেহারা আখচাষীরা শেরপুরে শেষ হলো ক্যাথলিক খ্রিষ্টভক্তদের ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব সরিষাবাড়ীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের উপর হামলা

শিক্ষার্থীদের কৃষি কাজে সম্পৃক্ত করতে এপির অভিনব উদ্যোগ

বিদ্যালয় মাঠে সবজি বাগান পরিদর্শন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিদ্যালয় মাঠে সবজি বাগান পরিদর্শন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জেন্ডার সমতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ বিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশ, কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ততা ও বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ অনুশীলন করার উদ্দেশ্যে জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর উদ্যোগে ২৮ এপ্রিল শিখন পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়।

জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পরিত্যাক্ত স্থানে গড়ে তোলা সবজি বাগান পরিদর্শন করতে পার্শ্ববর্তী আরও ৪টি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সরেজমিনে আসে। পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমদাদুল হক, উন্নয়ন সংঘের জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন, শরিফপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলতাফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, সাবেক প্রধান শিক্ষক আবুল হাসেম, এপির সিডিও আফরোজা বেগম প্রমুখ।

সবজি বাগান শিখন পরিদর্শন শেষে পর্যালোচনা সভা।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

পরিদর্শনে লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের বারুয়ামারী জহুরা খাতুন উচ্চবিদ্যালয়, বারুয়ামারী সেন্ট্রাল স্কুল, শ্রীরামপুর উচ্চবিদ্যালয়, ভালুকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৯০ জন ছাত্র ও ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ অংশ নেন। পাশাপাশি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, বাগান কমিটির সদস্য, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্য, ইউপি সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে পর্যালোচনা সভায় বক্তারা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সবজি বাগানের অভিনব উদ্যোগে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এ কাজে সম্পৃক্ত করাতে এবং কৃষি কাজ অনুশীলন ও বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষে অংশগ্রহণ করানোর কাজে সরাসরি ভূমিকা রাখায় উন্নয়ন সংঘ এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানান।

জানা যায়, শরিফপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামতের ভিত্তিতে পরিত্যাক্ত স্থানে সবজি বাগান করা হয়। বিদ্যালয়ের ৩০ জন ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক সবজি চাষে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্য, উপজেলা কৃষি বিভাগ, মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগসহ কমিউনিটির সদস্যরা নানা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করেন।

সবজি বাগান শিখন পরিদর্শন শেষে পর্যালোচনা সভা।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

এপি সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত দুই হাজার টাকার সবজি বিক্রি করা হয়েছে। এ টাকায় ২০ জন দরিদ্র ছাত্র ও ছাত্রীর মাঝে জ্যামিতি বক্সসহ শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়েছে।

পরিদর্শনে আসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিদ্যালয়ে সবজি বাগান করার অঙ্গীকার করেন।

উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের যৌথ উদ্যোগে জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ৪টি ওয়ার্ডে ১০ বছর মেয়াদী জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস, জীবিকায়ন, স্পন্সরশিপ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ শিশুর সর্বোত্তম সুরক্ষায় দৃশ্যমান উন্নয়নের কাজ চলছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারগঞ্জে ১৮ ঘণ্টা পর আরেক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৪, নিখোঁজ ১

শিক্ষার্থীদের কৃষি কাজে সম্পৃক্ত করতে এপির অভিনব উদ্যোগ

আপডেট সময় ০৫:২৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
বিদ্যালয় মাঠে সবজি বাগান পরিদর্শন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জেন্ডার সমতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ বিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশ, কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ততা ও বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ অনুশীলন করার উদ্দেশ্যে জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর উদ্যোগে ২৮ এপ্রিল শিখন পরিদর্শনের আয়োজন করা হয়।

জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পরিত্যাক্ত স্থানে গড়ে তোলা সবজি বাগান পরিদর্শন করতে পার্শ্ববর্তী আরও ৪টি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সরেজমিনে আসে। পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমদাদুল হক, উন্নয়ন সংঘের জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন, শরিফপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলতাফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, সাবেক প্রধান শিক্ষক আবুল হাসেম, এপির সিডিও আফরোজা বেগম প্রমুখ।

সবজি বাগান শিখন পরিদর্শন শেষে পর্যালোচনা সভা।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

পরিদর্শনে লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের বারুয়ামারী জহুরা খাতুন উচ্চবিদ্যালয়, বারুয়ামারী সেন্ট্রাল স্কুল, শ্রীরামপুর উচ্চবিদ্যালয়, ভালুকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৯০ জন ছাত্র ও ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ অংশ নেন। পাশাপাশি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, বাগান কমিটির সদস্য, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্য, ইউপি সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে পর্যালোচনা সভায় বক্তারা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সবজি বাগানের অভিনব উদ্যোগে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এ কাজে সম্পৃক্ত করাতে এবং কৃষি কাজ অনুশীলন ও বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষে অংশগ্রহণ করানোর কাজে সরাসরি ভূমিকা রাখায় উন্নয়ন সংঘ এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানান।

জানা যায়, শরিফপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামতের ভিত্তিতে পরিত্যাক্ত স্থানে সবজি বাগান করা হয়। বিদ্যালয়ের ৩০ জন ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক সবজি চাষে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্য, উপজেলা কৃষি বিভাগ, মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগসহ কমিউনিটির সদস্যরা নানা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করেন।

সবজি বাগান শিখন পরিদর্শন শেষে পর্যালোচনা সভা।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

এপি সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত দুই হাজার টাকার সবজি বিক্রি করা হয়েছে। এ টাকায় ২০ জন দরিদ্র ছাত্র ও ছাত্রীর মাঝে জ্যামিতি বক্সসহ শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়েছে।

পরিদর্শনে আসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিদ্যালয়ে সবজি বাগান করার অঙ্গীকার করেন।

উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের যৌথ উদ্যোগে জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ৪টি ওয়ার্ডে ১০ বছর মেয়াদী জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস, জীবিকায়ন, স্পন্সরশিপ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ শিশুর সর্বোত্তম সুরক্ষায় দৃশ্যমান উন্নয়নের কাজ চলছে।