
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম
নারীর কাজে পুরুষ সহায়তাসহ গৃহস্থালী কাজসহ সংসারের শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৩ ফেব্রুয়ারি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় মসজিদ কমিটির সদস্য ও ইমামদের নিয়ে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সংঘের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাস্তবায়নাধীন জেন্ডার ইনক্লুসিভ মার্কেট সিস্টেমস ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (জেসমিন) প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, পরিচালক কর্মসূচি মোর্শেদ ইকবাল, হাতিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুন অর রশিদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠ পরিদর্শক আব্দুছ সোবহান, দেওয়ানগঞ্জ মডেল মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক সোলাইমান হোসেন, জেসমিন প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী শরিফ উদ্দিন প্রমুখ।

প্রশিক্ষণ সঞ্চালনা করেন জেসমিন প্রকল্পের জেন্ডার বিষয়ক কর্মকর্তা মনোয়ারা পারভীন।
প্রশিক্ষণে এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মসজিদ কমিটির সদস্য, উন্নয়ন সংঘের সিএফসহ ৩৫ জন অংশ নেন।
ওরিয়েন্টেশনের উদ্দেশ্য ও প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন উন্নয়ন সংঘের জেসমিন প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী শরিফ উদ্দিন।
প্রশিক্ষণের শুরুতেই ম্যানকেয়ারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।

উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে হলে আজকের প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করা খুবই জরুরি। দেশের অর্ধেক নারীর সাথে পুরুষরা মিলেমিশে কাজ করলে, একে অপরের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অনুধাবন এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে পারলে সরকার ঘোষিত ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তিনি মসজিদ কমিটির প্রতিটি সদস্য এবং ইমাম সাহেবদের প্রচার করার জন্য আহ্বান জানান।
উন্নয়ন সংঘের পরিচালক কর্মসূচি বলেন, মুসলমানদের পবিত্র স্থান মসজিদ। এখানে মুসল্লিরা ইমাম সাহেবদের কথা শোনেন। ম্যানকেয়ারের বিষয়টি খুৎবার আগে ইমাম সাহেবরা বয়ান করলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে প্রতিটি পরিবারে।