শফিউল আলম লাভলু
নকলা প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিরা হলেন- নকলা পৌরসভার ইসিবপুর মহল্লার প্রয়াত শামসুজ্জামানের ছেলে আমিনুজ্জামান ফারুক, বাদাগৌড় মহল্লার প্রয়াত ময়েজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে মোখলেছুর রহমান তারা ও টালকি ইউনিয়নের বিবিরচর এলাকার প্রয়াত আব্দুল আজিজের ছেলে এ কে এম আকরাম হোসেন।
এর মধ্যে মোখলেছুর তারা নকলা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আমিনুজ্জামান ফারুক সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজের বাংলা বিভাগের (সাময়িক বরখাস্ত) প্রভাষক ছিলেন। ১২ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।
গত ২৪ জানুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য মামলাটি অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
নকলার চার রাজাকারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। একই বছরের ৩১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ দাখিল করা হয়।
২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। চার আসামির মধ্যে বিচার চলাকালে এমদাদুল হক খাজা নামে এক আসামি মারা যান।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি।