ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যত জ্ঞান তত অর্জন, তত উন্নয়ন : এমপি আবুল কালাম আজাদ

বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ৪৫ বছরপূর্তির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ৪৫ বছরপূর্তির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ৪৫ বছরপূর্তির অনুষ্ঠানে জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, বই পড়ার অভ্যাসে জ্ঞানের প্রচণ্ড বিকাশ হবে। যত জ্ঞান তত অর্জন। যত জ্ঞান তত বড় মন। যত জ্ঞান তত উন্নয়ন। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার একজীবনে একজন মানুষ যদি আড়াই কোটি মানুষকে বই পাঠে যুক্ত করতে পারেন। তাহলে আমরা আড়াই লাখ মানুষ তা করতে পারবো না কেন। চলুন সেই চেষ্টাটাই করি আমরা। আসুন তাঁর হাতকে আমরা শক্তিশালী করার চেষ্টা করি। আলোকিত মানুষ গড়ার তিনি যে আন্দোলনটা নিয়েছেন। খুব ভালো কাজ এটা।

আলোকিত মানুষ চাই- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জামালপুর সরকারি গণগ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ৪৫ বছরপূর্তির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ।

তিনি আরও বলেন, যদি আমরাও আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের সাথে হাত মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তাহলে এই জেলা, এই উপজেলা, এই শহরের মানুষদের আমরা কোন না কোনভাবে আলোর পথে নিয়ে আসতে পারবো। এতে করে জ্ঞানের প্রচণ্ড বিকাশ হবে। যত জ্ঞান তত অর্জন। যত জ্ঞান তত বড় মন। যত জ্ঞান তত উন্নয়ন। সকলের মঙ্গল কামনা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ আলোকিত মানুষ গড়বার জন্যে, পাখির মতো ডানা মেলে উড়বার কত প্রজন্ম তৈরি করবার জন্যে এই বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। ৪৫ বছর পার করে দিয়ে বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্র আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে সমগ্র বাংলাদেশে।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আপনার শিশু সন্তানদের লাইব্রেরিতে নিয়ে আসুন। তারা পড়ুক বা না পড়ুক। তারা এই বইয়ের গন্ধ নিক। পত্রিকার ঘ্রাণ নিক। সে যে বইই হোক। পড়তে পড়তেই খোঁজে পাবে কোন বইটা পড়া দরকার। যে শাখায় তাদের পৌঁছা দরকার সেই শাখায় পৌঁছে যাবে। আমি চাই তারা বইটি হাতে নিক। আমি চাই তারা বইয়ের পাতা উল্টাক। আমি চাই তারা বইয়ের ঘ্রাণ নিক। এই ঘ্রাণ নিতে নিতেই বইয়ের সাথে তার মিতালি গড়ে উঠবে। এতে সে সখ্যতা, ভালোবাসা, প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাবে। বইয়ের সাথে এই প্রেম শেষদিন পর্যন্ত ম্লান হয়ে যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই আমাদের তরুণ প্রজন্ম, পরবর্তী প্রজন্ম শিল্প সাহিত্যের সকল শাখায় বিচরণ করুক। তারা সুন্দর, আলোকিত, পরিচ্ছন্ন মানুষ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম
অনুষ্ঠানে পাঠক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রমের লাইব্রেরি কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন মুরাদ, দৈনিক আলোচিত জামালপুরের নির্বাহী সম্পাদক কবি সাযযাদ আনসারী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী, বাংলারচিঠিডটকমের সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষাসৈনিক মতি মিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো. আশরাফুজ্জামান স্বাধীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জামালপুর সরকারি গণগ্রন্থাগারের স্বেচ্ছাসেবক নূরে আলম খান সুজন।

পরে বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ৪৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, উদ্বোধক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যত জ্ঞান তত অর্জন, তত উন্নয়ন : এমপি আবুল কালাম আজাদ

আপডেট সময় ১১:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ৪৫ বছরপূর্তির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ৪৫ বছরপূর্তির অনুষ্ঠানে জামালপুর-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, বই পড়ার অভ্যাসে জ্ঞানের প্রচণ্ড বিকাশ হবে। যত জ্ঞান তত অর্জন। যত জ্ঞান তত বড় মন। যত জ্ঞান তত উন্নয়ন। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার একজীবনে একজন মানুষ যদি আড়াই কোটি মানুষকে বই পাঠে যুক্ত করতে পারেন। তাহলে আমরা আড়াই লাখ মানুষ তা করতে পারবো না কেন। চলুন সেই চেষ্টাটাই করি আমরা। আসুন তাঁর হাতকে আমরা শক্তিশালী করার চেষ্টা করি। আলোকিত মানুষ গড়ার তিনি যে আন্দোলনটা নিয়েছেন। খুব ভালো কাজ এটা।

আলোকিত মানুষ চাই- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জামালপুর সরকারি গণগ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ৪৫ বছরপূর্তির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ।

তিনি আরও বলেন, যদি আমরাও আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের সাথে হাত মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তাহলে এই জেলা, এই উপজেলা, এই শহরের মানুষদের আমরা কোন না কোনভাবে আলোর পথে নিয়ে আসতে পারবো। এতে করে জ্ঞানের প্রচণ্ড বিকাশ হবে। যত জ্ঞান তত অর্জন। যত জ্ঞান তত বড় মন। যত জ্ঞান তত উন্নয়ন। সকলের মঙ্গল কামনা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ আলোকিত মানুষ গড়বার জন্যে, পাখির মতো ডানা মেলে উড়বার কত প্রজন্ম তৈরি করবার জন্যে এই বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। ৪৫ বছর পার করে দিয়ে বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্র আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে সমগ্র বাংলাদেশে।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আপনার শিশু সন্তানদের লাইব্রেরিতে নিয়ে আসুন। তারা পড়ুক বা না পড়ুক। তারা এই বইয়ের গন্ধ নিক। পত্রিকার ঘ্রাণ নিক। সে যে বইই হোক। পড়তে পড়তেই খোঁজে পাবে কোন বইটা পড়া দরকার। যে শাখায় তাদের পৌঁছা দরকার সেই শাখায় পৌঁছে যাবে। আমি চাই তারা বইটি হাতে নিক। আমি চাই তারা বইয়ের পাতা উল্টাক। আমি চাই তারা বইয়ের ঘ্রাণ নিক। এই ঘ্রাণ নিতে নিতেই বইয়ের সাথে তার মিতালি গড়ে উঠবে। এতে সে সখ্যতা, ভালোবাসা, প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাবে। বইয়ের সাথে এই প্রেম শেষদিন পর্যন্ত ম্লান হয়ে যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই আমাদের তরুণ প্রজন্ম, পরবর্তী প্রজন্ম শিল্প সাহিত্যের সকল শাখায় বিচরণ করুক। তারা সুন্দর, আলোকিত, পরিচ্ছন্ন মানুষ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম
অনুষ্ঠানে পাঠক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কার্যক্রমের লাইব্রেরি কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন মুরাদ, দৈনিক আলোচিত জামালপুরের নির্বাহী সম্পাদক কবি সাযযাদ আনসারী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী, বাংলারচিঠিডটকমের সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষাসৈনিক মতি মিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো. আশরাফুজ্জামান স্বাধীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জামালপুর সরকারি গণগ্রন্থাগারের স্বেচ্ছাসেবক নূরে আলম খান সুজন।

পরে বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ৪৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, উদ্বোধক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।