বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কী বলবে ও করবে তা নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তিত নয় বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কী বলবে ও করবে এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত না। বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্যে নিয়ে অস্থিরতা চলছে। আমরাও দ্রব্যমূল্য নিয়ে চিন্তিত। কাজ করছি দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে। তবে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার মধ্যেও দেশের মানুষ ভালো আছে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা অস্থিরতার মধ্যে ভালো দিক।’
ওবায়দুল কাদের ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির দেশে-বিদেশে বন্ধু আছে। এখন নির্বাচনে অংশ নেয়নি, আন্দোলনে ব্যর্থ। তাদেরতো বিদেশি বন্ধুদের কাছে মুখ রক্ষার বিষয় আছে। তেমনি কর্মীদের ক্ষমতার লোভ দেখিয়েছে। বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয়নি। হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি কি প্রতিক্রিয়া দেখাল তা নিয়ে বিচলিত নয় সরকার। এখন সরকারের মূল লক্ষ্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কটের পরও জনগণ ৪১.৮ শতাংশ ভোট দিয়েছে। ২৮ টি দল অংশ নিয়েছে। সারা দুনিয়া থেকে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
এমনকি নির্বাচন সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ এমন কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বলেনি। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিস্টার পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সারা বিশ্ব আজ চ্যালেঞ্জের মুখে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, যার রেশ বাংলাদেশেও রয়েছে। বৃহষ্পতিবার দেখলাম রেমিটেন্স বেড়েছে, তবে রিজার্ভ কমেছে। ওঠানামা থাকবেই। তারপরও আমরা কৃষি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি। এটা একটা ভাল দিক। এ অস্থিরতার মধ্যেও জনগণের মধ্যে কোথাও হাহাকার নেই, বিক্ষোভ, দ্রোহ দেখিনি। সবাই স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন।