মাহমুদুল হাসান মুক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ এ রব সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জামালপুরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জামিয়াতুল মোদার্রেছিন মাদরাসা শিক্ষক সমিতি জামালপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। ২৮ জানুয়ারি সকালে সংগঠনের নেতারা এ স্মারকলিপি জমা দেন। এ সময় বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছিন মাদরাসা শিক্ষক সমিতি জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোহাম্মদ আনোয়ারুল হকসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ২৩ জানুয়ারি সকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটা, রড, শাবল দেশি অস্ত্র নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রবেশ করে অভিযুক্ত মৃত সৈয়জুদ্দিনের ছেলে মো. আবুল কালাম আজাদ ও মৃত আব্দুল বাকির ছেলে আবু বকর সিদ্দিক। পরে তারা টেবিল, চেয়ার ভাঙচুর করে এবং খাতাপত্র ছিঁড়ে ফেলে। অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তারা তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এসময় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই অধ্যক্ষ ২৩ জানুয়ারি বিকালে বাহাদুরাবাদ এ রব সিনিয়র আলিম মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা নং-৯৬(৩) একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামি খুশ নবীকে ২৪ জানুয়ারি সকালে বাহাদুরাবাদ বাজার এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে আসামিরা সকলেই জামিনে মুক্তি পান। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তারা অধ্যক্ষ ইউনুস আলীকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে ২৮ জানুয়ারি সকালে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছিন মাদরাসা শিক্ষক সমিতি জামালপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও শিক্ষা অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে এ রব সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ ইউনুস আলী বলেন, ২৩ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবুল কালাম আজাদ ও আবু বকর সিদ্দিক দুজনে মাদরাসায় ঢুকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তাদের সাথে আরো ৩০-৩৫ জন লোক মাদরাসায় প্রবেশ করেন। এ সময় তাদেরকে বাধা দিলে তারা আমাকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে বাইরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। পরে আমি মাদরাসা ত্যাগ করে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। মামলার পর ২৪ জানুয়ারি একজন আসামি গ্রেপ্তার হলেও পরবর্তীতে তিনিসহ মামলার সকল আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।