ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গণবিজ্ঞপ্তি : নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর থেকে বিশেষ অভিযান শুভ মহালয়া : জামালপুরে দুর্গাপূজার শুভ সূচনা দেওয়ানগঞ্জে ১১৩ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ এখনও পাঁচশ’র মত বন্দি পলাতক রয়েছে : জামালপুরে কারা মহাপরিদর্শক ইসরাইলে ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান : রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মহালয়ার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারে সহায়তা করবে ইতালি : রাষ্ট্রদূত ইসলামপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ ইসলামপুরে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সিডসের আওতায় বেকার যুবকদের টিটিসির ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্তিকরণ

৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে পুষ্টিকর খাবার

এম আর মাসফি:

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাদ্য ও পুষ্টিসেবা নিশ্চিত করতে এবং স্কুলে তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পে দেশের ১৫০টি উপজেলার প্রায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে সপ্তাহের পাঁচ দিন পুষ্টিকর শুকনা খাবার দেওয়া হবে।

আগে রান্না করা খাবার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবার শুকনা পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ লক্ষ্যে চার হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি স্কুল ফিডিং কার্যক্রম-১ হাতে নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এসংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে এসেছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি প্রকল্পটি নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবদুল বাকীর নেতৃত্বে মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হবে।

এ বিষয়ে আবদুল বাকী এ প্রতিবেদককে বলেন, এটি খুবই ভালো প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত হবে।

পিইসি সভায় প্রকল্পটির বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য একনেকে তোলা হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের জুনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাইমারি স্কুল মিল প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়। সভায় একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি অনুমোদন না করে ‘এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের পরিবর্তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তবসম্মত ও কার্যকর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

তারই আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন ডিজাইনে এই প্রকল্পটি পাঠিয়েছে। প্রকল্পটিতে চার হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে, আর ৪৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দেবে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ওয়ার্ল্ভ্র ফুড প্রগ্রাম (ডাব্লিউএফপি)। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে তিন বছর মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রকল্পটির বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মতে এবার নতুন ডিজাইনে প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চাদের শুকনা পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের এই বয়সে বেশি পুষ্টিকর খাবার দরকার, যা এই খাবার থেকে অনেকটাই নিশ্চিত হবে।

দেশে ১৫০টি উপজেলার প্রায় ৩৫ লাখ শিশুকে এই খাবার দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে পাঁচ দিনে পাঁচ ধরনের খাবার দেওয়া হবে। এক দিন দুধ আর রুটি দেওয়া হবে। এক দিন ডিম আর রুটি দেওয়া হবে। এক দিন বিস্কুট দেওয়া হবে। আবার এক দিন মৌসুমি ফল দেওয়া হবে। আমাদের মূল টার্গেট বাচ্চাদের নিউট্রিশনের চাহিদা নিশ্চিত করা। একটি বাচ্চার জন্য দৈনিক ৪৫ টাকার মতো বাজেট থাকবে। বাচ্চাদের একটি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে খাবার দেওয়া হবে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বিবিএসের দারিদ্র্য ম্যাপ দেখে সে অনুযায়ী ১৫০টি উপজেলার প্রায় ১৮ থেকে ১৯ হাজার স্কুল বাছাই করা হয়েছে। উপজেলার সব স্কুলের বাচ্চা খাবার পাবে। খাবার এমনভাবে পরিবেশন করা হবে, যাতে তাদের মধ্যে নেতৃত্ব তৈরি হয়। তিনটি ধাপে পর্যায়ক্রমে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিতরণের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষাকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা। এর মাধ্যমে যাতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার কমে, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যায়—এটিই উদ্দেশ্য।

পুষ্টিবিদদের মতে, একজন মানুষের শরীরে প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী ক্যালরি হিসাব করে খাদ্যতালিকা তৈরি করা প্রয়োজন। সারা দিন প্রাথমিকের একজন শিক্ষার্থীর এক হাজার কিলোক্যালরির খাবারের প্রয়োজন পড়ে। এর মধ্যে ৩০০ কিলোক্যালরি স্কুল ফিডিং মিল থেকে পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। খাদ্যসামগ্রীগুলোও সেভাবেই সাজানো হয়েছে। বাচ্চাদের আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম—এ জাতীয় যেসব বিষয় শিশুদের জরুরি, সেসবই রাখা হয়েছে।

প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে চার হাজার ১৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে খাবার ক্রয় করা হবে। খাবার ব্যবস্থাপনায় খরচ হবে ২৮২ কোটি টাকা। প্রকল্পটিতে ডাব্লিউএফপির ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা স্কুল ফিডিং কার্যক্রমে ব্যয় হবে। ২১ হাজার মিল ম্যানেজারের সম্মানী বাবদ ব্যয় হবে ৪০ কোটি টাকা। খাবার বিতরণে চার লাখ ২০ হাজার অ্যাপ্রন ও রুমাল কিনতে ব্যয় হবে ৩০ কোটি টাকা। ৩১৫ জনকে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে ব্যয় হবে ২৫ কোটি টাকা। অফিস ভাড়া বাবদ খরচ হবে ১০ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরুর কথা বলেছিলেন। এর আগে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৩৫টি জেলার ১০৪টি উপজেলায় ১৫ হাজার ৪৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৯ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য চলমান স্কুল ফিডিং কার্যক্রম সম্প্রতি শেষ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গণবিজ্ঞপ্তি : নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে ১ নভেম্বর থেকে বিশেষ অভিযান

৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে পুষ্টিকর খাবার

আপডেট সময় ০৬:৪২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

এম আর মাসফি:

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাদ্য ও পুষ্টিসেবা নিশ্চিত করতে এবং স্কুলে তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পে দেশের ১৫০টি উপজেলার প্রায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে সপ্তাহের পাঁচ দিন পুষ্টিকর শুকনা খাবার দেওয়া হবে।

আগে রান্না করা খাবার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবার শুকনা পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ লক্ষ্যে চার হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি স্কুল ফিডিং কার্যক্রম-১ হাতে নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এসংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে এসেছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি প্রকল্পটি নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবদুল বাকীর নেতৃত্বে মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হবে।

এ বিষয়ে আবদুল বাকী এ প্রতিবেদককে বলেন, এটি খুবই ভালো প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত হবে।

পিইসি সভায় প্রকল্পটির বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য একনেকে তোলা হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের জুনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাইমারি স্কুল মিল প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়। সভায় একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি অনুমোদন না করে ‘এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের পরিবর্তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তবসম্মত ও কার্যকর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

তারই আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন ডিজাইনে এই প্রকল্পটি পাঠিয়েছে। প্রকল্পটিতে চার হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে, আর ৪৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দেবে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ওয়ার্ল্ভ্র ফুড প্রগ্রাম (ডাব্লিউএফপি)। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে তিন বছর মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রকল্পটির বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মতে এবার নতুন ডিজাইনে প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চাদের শুকনা পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের এই বয়সে বেশি পুষ্টিকর খাবার দরকার, যা এই খাবার থেকে অনেকটাই নিশ্চিত হবে।

দেশে ১৫০টি উপজেলার প্রায় ৩৫ লাখ শিশুকে এই খাবার দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে পাঁচ দিনে পাঁচ ধরনের খাবার দেওয়া হবে। এক দিন দুধ আর রুটি দেওয়া হবে। এক দিন ডিম আর রুটি দেওয়া হবে। এক দিন বিস্কুট দেওয়া হবে। আবার এক দিন মৌসুমি ফল দেওয়া হবে। আমাদের মূল টার্গেট বাচ্চাদের নিউট্রিশনের চাহিদা নিশ্চিত করা। একটি বাচ্চার জন্য দৈনিক ৪৫ টাকার মতো বাজেট থাকবে। বাচ্চাদের একটি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে খাবার দেওয়া হবে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বিবিএসের দারিদ্র্য ম্যাপ দেখে সে অনুযায়ী ১৫০টি উপজেলার প্রায় ১৮ থেকে ১৯ হাজার স্কুল বাছাই করা হয়েছে। উপজেলার সব স্কুলের বাচ্চা খাবার পাবে। খাবার এমনভাবে পরিবেশন করা হবে, যাতে তাদের মধ্যে নেতৃত্ব তৈরি হয়। তিনটি ধাপে পর্যায়ক্রমে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিতরণের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষাকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা। এর মাধ্যমে যাতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার কমে, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যায়—এটিই উদ্দেশ্য।

পুষ্টিবিদদের মতে, একজন মানুষের শরীরে প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী ক্যালরি হিসাব করে খাদ্যতালিকা তৈরি করা প্রয়োজন। সারা দিন প্রাথমিকের একজন শিক্ষার্থীর এক হাজার কিলোক্যালরির খাবারের প্রয়োজন পড়ে। এর মধ্যে ৩০০ কিলোক্যালরি স্কুল ফিডিং মিল থেকে পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। খাদ্যসামগ্রীগুলোও সেভাবেই সাজানো হয়েছে। বাচ্চাদের আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম—এ জাতীয় যেসব বিষয় শিশুদের জরুরি, সেসবই রাখা হয়েছে।

প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে চার হাজার ১৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে খাবার ক্রয় করা হবে। খাবার ব্যবস্থাপনায় খরচ হবে ২৮২ কোটি টাকা। প্রকল্পটিতে ডাব্লিউএফপির ৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা স্কুল ফিডিং কার্যক্রমে ব্যয় হবে। ২১ হাজার মিল ম্যানেজারের সম্মানী বাবদ ব্যয় হবে ৪০ কোটি টাকা। খাবার বিতরণে চার লাখ ২০ হাজার অ্যাপ্রন ও রুমাল কিনতে ব্যয় হবে ৩০ কোটি টাকা। ৩১৫ জনকে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে ব্যয় হবে ২৫ কোটি টাকা। অফিস ভাড়া বাবদ খরচ হবে ১০ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরুর কথা বলেছিলেন। এর আগে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৩৫টি জেলার ১০৪টি উপজেলায় ১৫ হাজার ৪৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৯ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য চলমান স্কুল ফিডিং কার্যক্রম সম্প্রতি শেষ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।