ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় নির্বাচন ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আইসিএলডিএস’র গোলটেবিল বৈঠক

রাজধানীর লেকশোর হোটেলে গোলটেবিলের আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর লেকশোর হোটেলে গোলটেবিলের আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

‘জাতীয় নির্বাচন ও স্থিতিশীলতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এ বৈঠকের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (আইসিএলডিএস)।

বৈঠকটির সঞ্চালনায় ছিলেন ড. ফারজানা মাহমুদ ও নূর সাফা জুলহাস। আইসিএলডিএসের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশীদের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এ সময় বক্তব্য দেন ডিবিসির সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন ও ড. জিনাত হুদা।

ডিবিসির সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল আসেনি। তাই ঘাটতি বাজেটের মত কতটুকু ঘাটতি সেটা নিয়েই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণ ও অবাধ নির্বাচন কামনা করেন তিনি।

৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের তিনটি মানদণ্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষেই এই নির্বাচন হবে।

দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, একেক জায়গায় স্থিতিশীলতার সংজ্ঞা একেক রকম। আমাদের স্থিতিশীলতা বলতে বুঝায়, স্বাধীনতার পক্ষে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত থাকবে সমাজ ও দেশ। বিএনপি আসলে হয়ত আবার গ্রেনেড হামলা দেখতে হতে পারে। এখন আমাদের দেশে ভোটার এমপাওয়ারমেন্ট হচ্ছে।

পীযূষ বন্দোপাধ্যায় আইসিএলডিএসকে যুগোপযোগী আলোচনার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় ধন্যবাদ দিয়ে শুরু করেন। নির্বাচন হবে আর শান্ত নদীর মত থাকবে সেটা সম্ভব নয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক ও শান্তি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। মাইনরিটি যেন ভোটের ভয়ে না থাকে। ভোটারদের আনতে হবে কেন? তারা আসবেন, তাদের আনার ব্যবস্হা করতে হবে। আমি মনে করি, তরুণ ভোটাররা এবারও আসবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচন হয়তো শতভাগ অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। তবে একটা বড় অংশ নির্বাচনে আসছে, লড়াই করবে ভোটে। আগের তুলনায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত কর্মতৎপর।

ড. জিনাত হুদা বলেন, ভোট বর্জন যারা করবে, জনগণই তাদের বর্জন করবে। বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচব সম্ভব। দু-চারজনের মদদে নির্বাচন বাতিল হবে সেটা সম্ভব না। জনগণই চয়েজ করবে এবং আগুন সন্ত্রাস দিয়ে জনগণের মতামত ও ভোট আটকে রাখতে পারবে না।

আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল, আবু সাঈদ খান, নঈম নিজাম, ড. সাদেকা হালিম, ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু, আবুল হোসেন চৌধুরী, সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, ফারুক ফয়সাল ও এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক এলাহী চৌধুরী প্রমুখ। বৈঠকটি বেসরকারি টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।সূত্র:সমকাল।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় নির্বাচন ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আইসিএলডিএস’র গোলটেবিল বৈঠক

আপডেট সময় ১২:০৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর লেকশোর হোটেলে গোলটেবিলের আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

‘জাতীয় নির্বাচন ও স্থিতিশীলতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এ বৈঠকের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (আইসিএলডিএস)।

বৈঠকটির সঞ্চালনায় ছিলেন ড. ফারজানা মাহমুদ ও নূর সাফা জুলহাস। আইসিএলডিএসের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশীদের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এ সময় বক্তব্য দেন ডিবিসির সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন ও ড. জিনাত হুদা।

ডিবিসির সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল আসেনি। তাই ঘাটতি বাজেটের মত কতটুকু ঘাটতি সেটা নিয়েই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণ ও অবাধ নির্বাচন কামনা করেন তিনি।

৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের তিনটি মানদণ্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষেই এই নির্বাচন হবে।

দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, একেক জায়গায় স্থিতিশীলতার সংজ্ঞা একেক রকম। আমাদের স্থিতিশীলতা বলতে বুঝায়, স্বাধীনতার পক্ষে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত থাকবে সমাজ ও দেশ। বিএনপি আসলে হয়ত আবার গ্রেনেড হামলা দেখতে হতে পারে। এখন আমাদের দেশে ভোটার এমপাওয়ারমেন্ট হচ্ছে।

পীযূষ বন্দোপাধ্যায় আইসিএলডিএসকে যুগোপযোগী আলোচনার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় ধন্যবাদ দিয়ে শুরু করেন। নির্বাচন হবে আর শান্ত নদীর মত থাকবে সেটা সম্ভব নয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক ও শান্তি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। মাইনরিটি যেন ভোটের ভয়ে না থাকে। ভোটারদের আনতে হবে কেন? তারা আসবেন, তাদের আনার ব্যবস্হা করতে হবে। আমি মনে করি, তরুণ ভোটাররা এবারও আসবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচন হয়তো শতভাগ অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। তবে একটা বড় অংশ নির্বাচনে আসছে, লড়াই করবে ভোটে। আগের তুলনায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত কর্মতৎপর।

ড. জিনাত হুদা বলেন, ভোট বর্জন যারা করবে, জনগণই তাদের বর্জন করবে। বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচব সম্ভব। দু-চারজনের মদদে নির্বাচন বাতিল হবে সেটা সম্ভব না। জনগণই চয়েজ করবে এবং আগুন সন্ত্রাস দিয়ে জনগণের মতামত ও ভোট আটকে রাখতে পারবে না।

আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল, আবু সাঈদ খান, নঈম নিজাম, ড. সাদেকা হালিম, ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু, আবুল হোসেন চৌধুরী, সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, ফারুক ফয়সাল ও এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক এলাহী চৌধুরী প্রমুখ। বৈঠকটি বেসরকারি টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।সূত্র:সমকাল।