জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, আরেকটা দল জামাত হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী দল। এরা নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। ভোটারদের অংশগ্রহণেই হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমরা সেটাই চাই।
২৮ ডিসেম্বর বিকেলে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জামালপুরসহ দেশের ছয় জেলায় ভার্চুয়ালি জনসভায় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ওই সন্ত্রাসীদল তারা নির্বাচনেও বিশ্বাস করে না। এদের দিয়ে দেশের কোন কল্যাণ আসবে না। দুর্নীতিবাজরা তারা কিছুই দিতে পারবে না। সেই কারণেই আমরা কিন্তু নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। নৌকা মার্কা দিয়েছি। পাশাপাশি আরও যারা দাঁড়াতে চায় তারাও দাঁড়াবে। আপনারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন।
আমার ভোট আমি দিবো যাকে খুশি তাকে দিবো- এই স্লোগান দিয়েই ক্ষমতায় আসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার যার ভোট সে সে চাইবেন। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে। এটাতো আমাদেরই স্লোগান। আমার ভোট আমি দিবো যাকে খুশি তাকে দিবো। এই স্লোগান দিয়েই তো আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। এই স্লোগান দিয়েই তো আমরা সংগ্রাম করেছি। কাজেই সেই কথা মনে রেখে যার যার ভোট সে সে চান। জনগণ যাকে ভোট দিবে সেটাই মেনে নিবেন। এভাবেই এই নির্বাচন পরিচালিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই এ দেশের দরিদ্র থেকে শুরু করে সব মানুষেরই মুক্তি আসবে। এই দেশটা উন্নত সমৃদ্ধ হবে। ইনশাল্লাহ আওয়ামী লীগ জনগণের মেন্ডেট নিয়েই আবার জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে। জনগণের কাছে সেটাই আমাদের দাবি। এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা। জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়তে আমরা এবারও নৌকায় ভোট দিবো ইনশাল্লাহ।
জামালপুরের পাঁচটি আসনের প্রার্থীদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামালপুর সব সময় আমাদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সব সময় আমাদের আসনগুলো উপহার দিয়েছে। যার ফলে আমরা সরকার গঠন করতে পেরেছি। শক্তিশালী সরকার গঠন করে দেশের উন্নতি করেছি। কাজেই এই সভার মাধ্যমে জামালপুরে প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকার মানুষদের কাছে আমি এইটুকু আহ্বান করবো যে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীদেরকে জয়যুক্ত করবেন। ইনশাল্লাহ আমরা আবারো জয়ী হবো।
এই জনসভা উপলক্ষে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে বিশাল মঞ্চ স্থাপন করে। বিকেল ৩টা ৫১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ডিজিটাল পর্দায় আসেন। প্রথমে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলার নেতা-কর্মী ও ভোটার জনতার উদ্দেশ্যে সূচনা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে তিনি প্রথমেই জামালপুর জেলার সাথে যুক্ত হন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানান।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামালপুর জেলার পাঁচটি আসনের নৌকা প্রতীকের পাঁচজন প্রার্থীর সাথে পরিচিত হন। এ সময় জামালপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-২ আসনের প্রার্থী ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, জামালপুর-৩ আসনের মির্জা আজম এমপি, জামালপুর-৪ আসনের মো. মাহবুবুর রহমান ও জামালপুর-৫ আসনের প্রার্থী সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানান।
জনসভায় জামালপুর সদর আসনের একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের হাজারো নেতাকর্মী, ভোটার-জনতা অংশ নেন। পরে জনসভাস্থল থেকে সদর আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে গণমিছিল বের হয়।