ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কালুরঘাটে ১১,৫৬০ কোটি টাকার রেল-কাম-সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কারে পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন ইসলামপুরে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় র‌্যাবের অভিযান : শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলা মামলার আসামি মোশারফ গ্রেপ্তার আরও শক্তিশালী হলো ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’, আঘাত হানবে যখন আমি ইসলামপুরে আপনাদের সেবা করার জন্য এসেছি : নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সরিষাবাড়ীতে পুলিশের মতবিনিময় ঝিনাইগাতীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ বকশীগঞ্জে অবৈধ পার্কিং করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে সিএনজি চালকদের জরিমানা

‘মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা বাংলার মাটিতে চলবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের কাছে যেতে হবে মানুষের কল্যাণের কথা বলে। মানুষের উন্নয়নের কথা বলে। মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারব সেই কথা বলে কিন্তু মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটবে এটা বাংলার মাটিতে চলবে না।

২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে গণভবনে খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আসলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ এবং সেভাবেই আমরা দেশকে গড়ে তুলতে চাই। যদিও মাঝে অনেক বাধা এসেছি, বিপত্তি এসেছে কিন্তু যখন থেকে আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে তখন থেকে এই নীতি আমরা মেনে চলছি যে, স্বাধীনভাবে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। সে জন্যই আমি বলেছি যে, ধর্ম যার যার উৎসব সকলের। সেই উৎসব আমরা আয়োজন করি। উৎসবটাও আমরা সকলে মিলেই উপভোগ করি। এটা আমরা ধরে রাখতে চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল গণপরিষদ অধিবেশনের এক ভাষণে বলেছিলেন ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্মকে বাংলার বুকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না’। এই যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি করা, এটা কখনোই কাম্য না এবং সেটা আমরা চাই না।

তিনি বলেন, কাজেই ধর্মীয় সংঘাত হোক সেটা আমরা চাই না। ধর্ম পালনে কেউ বাধা সৃষ্টি করুক, সেটাও চাই না।

বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যদি এই কভিড-১৯ মহামারী আর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ না হতো তাহলে হয়তো আমরা আরও অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারতাম। এখন আরেকটা দুর্ভাগ্য হলো, যিশুখ্রিষ্টের জন্মস্থান প্যালেস্টাইন, আজকে সেখানে রক্তক্ষয়ী আক্রমণ চলছে। হাসপাতালে আক্রমণ। ছোট ছোট শিশু-নারী, কেউ বাদ যাচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য সত্যিই খুব দুঃখের বিষয়। আমি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যখন যেখানে সুযোগ পাচ্ছি, এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশেও আমরা দেখি কিছু মানুষ; তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অগ্নিসংযোগ করে মানুষকে হত্যা করে। রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে দেয়, কেন? রেলের বগিগুলো পড়ে যাবে আর মানুষ নিহত হবে। এটা কোন ধরনের রাজনীতি আমি জানি না। আমার কাছে অবাক লাগে। জীবন্ত মানুষগুলোকে পুড়িয়ে মারা, বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, আগুন দিয়ে খেলা। এটা কেন? রাজনীতি হবে আদর্শ নিয়ে, নিজের যদি কর্মসূচি থাকে জনগণের কাছে যাবে। জনগণের কাছে বলবে। কয়েকদিন আগে ট্রেনে আগুন দিয়েছে। একটি মা তার সন্তানকে বুকে ধরে পুড়ে মারা গেছে। এধরনের করুণ দৃশ্য তো আমরা দেখতে চাই না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মানুষকে পুড়িয়ে মেরে, মানুষের ক্ষতি করে কী অর্জন করছে সেটাই আমার প্রশ্ন। এই ধরনের সংঘাত বন্ধ হোক, সেটাই আমরা চাই।

তিনি বলেন, মানুষের কাছে যেতে হবে মানুষের কল্যাণের কথা বলে। মানুষের উন্নয়নের কথা বলে। মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারব সেই কথা বলে কিন্তু মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটবে এটা বাংলার মাটিতে চলবে না। আমি ধিক্কার জানাই তাদের, যারা এই ধরনের হুকুম দেয় এবং যারা এই ধরনের কাণ্ড ঘটায়। এভাবে জীবন্ত মানুষ পোড়ানো, এটা তো মহাপাপ। এটা তো অন্যায়। এই অন্যায় কখনো মেনে নেওয়া যায় না।সূত্র:দেশ রূপান্তর।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কালুরঘাটে ১১,৫৬০ কোটি টাকার রেল-কাম-সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

‘মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা বাংলার মাটিতে চলবে না’

আপডেট সময় ১২:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের কাছে যেতে হবে মানুষের কল্যাণের কথা বলে। মানুষের উন্নয়নের কথা বলে। মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারব সেই কথা বলে কিন্তু মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটবে এটা বাংলার মাটিতে চলবে না।

২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে গণভবনে খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আসলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ এবং সেভাবেই আমরা দেশকে গড়ে তুলতে চাই। যদিও মাঝে অনেক বাধা এসেছি, বিপত্তি এসেছে কিন্তু যখন থেকে আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে তখন থেকে এই নীতি আমরা মেনে চলছি যে, স্বাধীনভাবে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। সে জন্যই আমি বলেছি যে, ধর্ম যার যার উৎসব সকলের। সেই উৎসব আমরা আয়োজন করি। উৎসবটাও আমরা সকলে মিলেই উপভোগ করি। এটা আমরা ধরে রাখতে চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল গণপরিষদ অধিবেশনের এক ভাষণে বলেছিলেন ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্মকে বাংলার বুকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না’। এই যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি করা, এটা কখনোই কাম্য না এবং সেটা আমরা চাই না।

তিনি বলেন, কাজেই ধর্মীয় সংঘাত হোক সেটা আমরা চাই না। ধর্ম পালনে কেউ বাধা সৃষ্টি করুক, সেটাও চাই না।

বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যদি এই কভিড-১৯ মহামারী আর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ না হতো তাহলে হয়তো আমরা আরও অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারতাম। এখন আরেকটা দুর্ভাগ্য হলো, যিশুখ্রিষ্টের জন্মস্থান প্যালেস্টাইন, আজকে সেখানে রক্তক্ষয়ী আক্রমণ চলছে। হাসপাতালে আক্রমণ। ছোট ছোট শিশু-নারী, কেউ বাদ যাচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য সত্যিই খুব দুঃখের বিষয়। আমি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যখন যেখানে সুযোগ পাচ্ছি, এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশেও আমরা দেখি কিছু মানুষ; তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অগ্নিসংযোগ করে মানুষকে হত্যা করে। রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে দেয়, কেন? রেলের বগিগুলো পড়ে যাবে আর মানুষ নিহত হবে। এটা কোন ধরনের রাজনীতি আমি জানি না। আমার কাছে অবাক লাগে। জীবন্ত মানুষগুলোকে পুড়িয়ে মারা, বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, আগুন দিয়ে খেলা। এটা কেন? রাজনীতি হবে আদর্শ নিয়ে, নিজের যদি কর্মসূচি থাকে জনগণের কাছে যাবে। জনগণের কাছে বলবে। কয়েকদিন আগে ট্রেনে আগুন দিয়েছে। একটি মা তার সন্তানকে বুকে ধরে পুড়ে মারা গেছে। এধরনের করুণ দৃশ্য তো আমরা দেখতে চাই না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মানুষকে পুড়িয়ে মেরে, মানুষের ক্ষতি করে কী অর্জন করছে সেটাই আমার প্রশ্ন। এই ধরনের সংঘাত বন্ধ হোক, সেটাই আমরা চাই।

তিনি বলেন, মানুষের কাছে যেতে হবে মানুষের কল্যাণের কথা বলে। মানুষের উন্নয়নের কথা বলে। মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারব সেই কথা বলে কিন্তু মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটবে এটা বাংলার মাটিতে চলবে না। আমি ধিক্কার জানাই তাদের, যারা এই ধরনের হুকুম দেয় এবং যারা এই ধরনের কাণ্ড ঘটায়। এভাবে জীবন্ত মানুষ পোড়ানো, এটা তো মহাপাপ। এটা তো অন্যায়। এই অন্যায় কখনো মেনে নেওয়া যায় না।সূত্র:দেশ রূপান্তর।