ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ জামালপুর সদর উপজেলা মৎস্যজীবীদলের সভাপতি হলেন সাইদুর, সম্পাদক জয়নাল সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপেও জয়ের ধারা ধরে রাখতে চান আফঈদা যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করার সম্মতি পেয়েছে ইসি মাদারগঞ্জে ট্রলি-বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, এক কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন ওসি খন্দকার শাকের জামালপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত ৪৮ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে বৃত্তির চেক দিল জামালপুর জেলা পরিষদ মেলান্দহে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তালবীজ রোপণ বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মানুষকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখার অধিকার কারও নেই : প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ ডিসেম্বর বলেছেন, ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার এবং তাদের ভোটে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই।

এখানে হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার এবং জনগণ তাদের ভোট দেবে। ভোট দেওয়া থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করার এবং হত্যা করার অধিকার কারো নেই।”

প্রধানমন্ত্রী আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কেউ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, “কেউ এটা করলে, একদিন দেশের জনগণই তাদের ছুঁড়ে ফেলবে, এটাই বাস্তবতা।”

ক্ষমতাসীন দলের প্রধান রেলে সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগের পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন যে অগ্নিসংযোগ এবং মানুষ হত্যার সাথে জড়িতদের প্রতি কোন করুণা দেখানো হবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।” বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচন বানচাল এবং আগামী নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করতে চাইলেও তিনি বলেন, “মানুষ নির্বাচন ও ভোটের পক্ষে।”

বিএনপি’র হরতালে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা কী লাভ করবে, বরং শেষ পর্যন্ত জনগণ তাদের ঘৃণা করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে আসে তখনই জনগণের কল্যাণ করে এবং আওয়ামী লীগ সরকার একে একে জনগণের সকল মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ‘নৌকা’ (আওয়ামী লীগকে) প্রতীকে ভোট দিলে এবং আমরা যদি আবার সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে জনগণের বাদ বাকী চাহিদাগুলোও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।”

তিনি বলেন, “আমরা সমগ্র বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করব। আর কোনো মানুষ ঠিকানাহীন, গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।”

তিনি বলেন, গরীব- দু:খী জনগণের মুখে হাসি ফোটানো এবং জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য। সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, আমি জানি আমাদের সরকার আবার ক্ষমতায় এলে তা কার্যকর হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বিএনপি’র নির্বাচন বয়কট প্রসঙ্গে বলেন, কারো নির্বার্চনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়াটা তাদের ব্যাপার, কিন্তু অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা হবে কেন। রেললাইনের ফিশপ্লেট উপড়ে ফেলা এবং রেলের বগিতে আগুন দেওয়া সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড, কারণ সরকারি সম্পত্তি গণমানুষেরই সম্পত্তি।

“আর, বিএনপি-জামায়াত জোট সেই সন্ত্রাসী ও জঙ্গী কর্মকাণ্ডই করছে”- একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারাই বিএনপি’র চরিত্র। তিনিসে প্র্রশ্ন রেখে বলেন, “এটা কোন ধরনের সরকার বিরোধী আন্দোলন?”। ট্রেনের আগুনের হাত থেকে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে এক শিশু ও তার মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা আবেগাপ্লুত কন্ঠে তিনি বললেন, “এই দৃশ্যের মতো বেদনাদায়ক আর কিছুই হতে পারে না। একজন মানুষ কীভাবে এটা করতে পারে?” প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, পুলিশ, সাংবাদিক এবং জনগণের ওপর হামলা করাটা কোন ধরনের রাজনীতি?সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

মানুষকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখার অধিকার কারও নেই : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ ডিসেম্বর বলেছেন, ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার এবং তাদের ভোটে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই।

এখানে হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার এবং জনগণ তাদের ভোট দেবে। ভোট দেওয়া থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করার এবং হত্যা করার অধিকার কারো নেই।”

প্রধানমন্ত্রী আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কেউ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, “কেউ এটা করলে, একদিন দেশের জনগণই তাদের ছুঁড়ে ফেলবে, এটাই বাস্তবতা।”

ক্ষমতাসীন দলের প্রধান রেলে সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগের পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন যে অগ্নিসংযোগ এবং মানুষ হত্যার সাথে জড়িতদের প্রতি কোন করুণা দেখানো হবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।” বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচন বানচাল এবং আগামী নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করতে চাইলেও তিনি বলেন, “মানুষ নির্বাচন ও ভোটের পক্ষে।”

বিএনপি’র হরতালে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা কী লাভ করবে, বরং শেষ পর্যন্ত জনগণ তাদের ঘৃণা করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে আসে তখনই জনগণের কল্যাণ করে এবং আওয়ামী লীগ সরকার একে একে জনগণের সকল মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ ‘নৌকা’ (আওয়ামী লীগকে) প্রতীকে ভোট দিলে এবং আমরা যদি আবার সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে জনগণের বাদ বাকী চাহিদাগুলোও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।”

তিনি বলেন, “আমরা সমগ্র বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করব। আর কোনো মানুষ ঠিকানাহীন, গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।”

তিনি বলেন, গরীব- দু:খী জনগণের মুখে হাসি ফোটানো এবং জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য। সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, আমি জানি আমাদের সরকার আবার ক্ষমতায় এলে তা কার্যকর হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বিএনপি’র নির্বাচন বয়কট প্রসঙ্গে বলেন, কারো নির্বার্চনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়াটা তাদের ব্যাপার, কিন্তু অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা হবে কেন। রেললাইনের ফিশপ্লেট উপড়ে ফেলা এবং রেলের বগিতে আগুন দেওয়া সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড, কারণ সরকারি সম্পত্তি গণমানুষেরই সম্পত্তি।

“আর, বিএনপি-জামায়াত জোট সেই সন্ত্রাসী ও জঙ্গী কর্মকাণ্ডই করছে”- একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারাই বিএনপি’র চরিত্র। তিনিসে প্র্রশ্ন রেখে বলেন, “এটা কোন ধরনের সরকার বিরোধী আন্দোলন?”। ট্রেনের আগুনের হাত থেকে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে এক শিশু ও তার মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা আবেগাপ্লুত কন্ঠে তিনি বললেন, “এই দৃশ্যের মতো বেদনাদায়ক আর কিছুই হতে পারে না। একজন মানুষ কীভাবে এটা করতে পারে?” প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, পুলিশ, সাংবাদিক এবং জনগণের ওপর হামলা করাটা কোন ধরনের রাজনীতি?সূত্র:বাসস।