ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেওয়ানগঞ্জে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

দেওয়ানগঞ্জে বিস্তীর্ণ সরিষা ফসলের ক্ষেত। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

দেওয়ানগঞ্জে বিস্তীর্ণ সরিষা ফসলের ক্ষেত। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল
দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। লাভের আশায় তাদের মুখে এখন হাসি। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে সরিষার আবাদ দেখা গেছে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য। ফুলে মধু আহরণে ভিড় করছে মৌমাছি। তবে অনেক জমিতেই ফুল শেষ হয়ে বীজ দেখা দিয়েছে। বীজগুলো বেশ তরতাজা, যা ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সরিষাচাষীরা জানান, গত বছর এক বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করে লাভবান হওয়ায় বেশি জমিতে চাষ করেছেন। সরিষার ফুল শেষে ভালো আর বড় বড় বীজ দেখা যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৪ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা-৪, বিনা-৯, বিনা-১১ টরি সাধ জাত সরিষার চাষ হয়েছে।

কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার তিনি ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত জমিতে কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। বরং সুন্দর আর স্বাস্থ্যবান বীজের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। এতে ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হতে পারবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা।

উপজেলা জেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর আজাদ জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার উপজেলায় বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেওয়ানগঞ্জে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আপডেট সময় ০৪:১০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
দেওয়ানগঞ্জে বিস্তীর্ণ সরিষা ফসলের ক্ষেত। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল
দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। লাভের আশায় তাদের মুখে এখন হাসি। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে সরিষার আবাদ দেখা গেছে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য। ফুলে মধু আহরণে ভিড় করছে মৌমাছি। তবে অনেক জমিতেই ফুল শেষ হয়ে বীজ দেখা দিয়েছে। বীজগুলো বেশ তরতাজা, যা ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সরিষাচাষীরা জানান, গত বছর এক বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করে লাভবান হওয়ায় বেশি জমিতে চাষ করেছেন। সরিষার ফুল শেষে ভালো আর বড় বড় বীজ দেখা যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৪ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা-৪, বিনা-৯, বিনা-১১ টরি সাধ জাত সরিষার চাষ হয়েছে।

কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার তিনি ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত জমিতে কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। বরং সুন্দর আর স্বাস্থ্যবান বীজের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। এতে ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হতে পারবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা।

উপজেলা জেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর আজাদ জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার উপজেলায় বেশি সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।