ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাদারগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন ক্রীড়াবিদ আউয়ালের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত র‍্যাবের অভিযান : নালিতাবাড়ীতে ২৬০ বোতল ভারতীয় মদ জব্ধ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ৯-১ গোলে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে জামালপুরে নিহত দুই পরিবহন শ্রমিক পরিবার পেল আর্থিক সহায়তা নালিতাবাড়ী সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১০ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ইমরানের পরিবারের পাশে মাদারগঞ্জের যুবদলনেতা মোখলেছ এসএসসি : মাদারগঞ্জে ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজনও পাস করেনি এসএসসি : ময়মনসিংহ বোর্ডে সেরা জামালপুর, পাশের হার ৬০.১৯ % বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারীসহ সাতজনকে পুশইন

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে খেজুরের কাঁচা রস পান না করার আহ্বান

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে খেজুরের কাঁচা রস পান না করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জুনোটিকডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শ. ম. গোলাম কায়ছার স্বাক্ষরিত এক স্বাস্থ্যবার্তায় বলা হয়, ‘নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্বক প্রাণঘাতী রোগ। সাধারণত শীতকালে নিপাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কাঁচা খেজুরের রসে বাদুড়ের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয় এবং ঐ বিষ্ঠা বা লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।’

এতে বলা হয়, ‘বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট গাছীগণকে এবং জনসাধারনকে প্রাণিবাহিত সংক্রামক ব্যাধি রোগ নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করা হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই রোগে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি।’

স্বাস্থ্যবার্তায় জানানো হয়, ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মারা যায়। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়।

খেজুরের রস বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে কেউ কাঁচা রস খেতে চাইলে যাতে তারা বিক্রি না করে। তবে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোন বাধা নেই।

নিপাহ রোগের প্রধান লক্ষণসমূহ হলো- জ¦রসহ মাথা ব্যাথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়া ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া।

নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে স্বাস্থ্যবার্তায় বলা হয়, খেজুরের কাঁচা রস না খাওয়া, কোন ধরনের আংশিক খাওয়া ফল না খাওয়া, ফল-মূল পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে খাওয়া, নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে অতি দ্রুত নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাতভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে খেজুরের কাঁচা রস পান না করার আহ্বান

আপডেট সময় ০৭:৩০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে খেজুরের কাঁচা রস পান না করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জুনোটিকডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শ. ম. গোলাম কায়ছার স্বাক্ষরিত এক স্বাস্থ্যবার্তায় বলা হয়, ‘নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্বক প্রাণঘাতী রোগ। সাধারণত শীতকালে নিপাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কাঁচা খেজুরের রসে বাদুড়ের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয় এবং ঐ বিষ্ঠা বা লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।’

এতে বলা হয়, ‘বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট গাছীগণকে এবং জনসাধারনকে প্রাণিবাহিত সংক্রামক ব্যাধি রোগ নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করা হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই রোগে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি।’

স্বাস্থ্যবার্তায় জানানো হয়, ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মারা যায়। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়।

খেজুরের রস বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে কেউ কাঁচা রস খেতে চাইলে যাতে তারা বিক্রি না করে। তবে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোন বাধা নেই।

নিপাহ রোগের প্রধান লক্ষণসমূহ হলো- জ¦রসহ মাথা ব্যাথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়া ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া।

নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে স্বাস্থ্যবার্তায় বলা হয়, খেজুরের কাঁচা রস না খাওয়া, কোন ধরনের আংশিক খাওয়া ফল না খাওয়া, ফল-মূল পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে খাওয়া, নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে অতি দ্রুত নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাতভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।