বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :
ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছে। মিচাং নামের এই ঘূর্ণিঝড় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। ৫ ডিসেম্বর পুলিশ এই কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
ঘূর্ণিঝড়টি ৫ ডিসেম্বর সকালে আরো শক্তিশালী ঝড়ে রূপ নিয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানবে বলে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছিল। প্রতি ঘণ্টায় ঝড়টির সর্বোচ্চ ১শ’ কিলোমিটার গতিতে বয়ে চলছে।
৪ ডিসেম্বর রাতে এক বিবৃতিতে তামিলনাড়ু রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্ট্যালিন বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় মোকাবেলা করছি।’
পুলিশ ৫ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইতে এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে আটজন প্রাণ হারিয়েছে।
খবরে বলা হয়, এদের মধ্যে কয়েকজন পানিতে ডুবে, একজন গাছের নিচে চাপা পড়ে, আরেকজন পানিতে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এবং একজন দেয়াল ধসে প্রাণ হারায়।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় অনেক গাড়ি স্রোতে ভেসে যেতে দেখা যায়। এতে অনেক ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যায়। নগরীর রাস্তায় একটি কুমিরকে সাঁতার কাটতে দেখা গেছে।
এদিকে আইএমডি এই অঞ্চলের কিছু এলাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টের ভিডিও ফুটেজে ভারী বৃষ্টির কারণে গাছ উপড়ে পড়ে থাকতে এবং বিভিন্ন যানবাহন ভেসে যেতে দেখা যাচ্ছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সরকার অন্ধ্র প্রদেশকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে পৃথিবী আরো বেশি উষ্ণ হওয়ায় এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে।