বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ২৮ নভেম্বর প্রথমবারের মতো তুরস্কে আনুষ্ঠানিক সফর করছেন।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে একটি যৌথ অবস্থান তৈরি করাই তার এই সফরের লক্ষ্য বলে জানা গেছে।
গাজা ও ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িফ এরদোয়ান মুসলিম বিশ্বে ইসরায়েলের অন্যতম কট্টর সমালোচক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ এবং হামাসকে ‘স্বাধীনতাকামী গ্রুপ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
কিন্তু মুসলিম ও আরব নেতৃবৃন্দের বৈঠকে গাজার হামলার বিষয়ে কী ধরনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে বিষয়ে কোন ঐকমত্য তৈরি হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধে তুরস্কের ওপর চাপ তৈরি করবেন রাইসি।
ইস্তাম্বুলের সেন্টার ফর ইরানিয়ান স্টাডিজের পরিচালক হাক্কি উইঘুর বলেছেন, ইরান আশা করছে তুরস্ক ইসরায়েলের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাণিজ্যিক যোগাযোগ বন্ধ করুক।
এছাড়া গাজার যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করার চেষ্টাও করবেন রাইসি।
এদিকে রাইসির সাথে ২৬ নভেম্বর টেলিফোনে কথা বলার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে একটি অভিন্ন অবস্থান তৈরির বিষয়ে তারা আলোচনা করবেন।
এছাড়া ইরান ও তুরস্ক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিকে স্থায়ী এবং স্থায়ী শান্তি অর্জন নিয়ে একযোগে কাজ করে যাবে বলেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানিয়েছে।