ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’ বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র পুরো সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার : জয়নুল আবদীন ফারুক পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৬০ বছরের ইতিহাসে পুলিশ এত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি : পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম হাটচন্দ্রায় মাকে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার ইসলামপুরে এক মাদরাসা শিক্ষক বহিষ্কার গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমানো হয়েছে : রিজওয়ানা ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চান নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না গাজা উপত্যকায় গত দিনে ইসরাইলি হামলায় ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত

হরতাল-অবরোধ : ১৭ দিনে ১৫৪টি অগ্নিসংযোগ

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশের পর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি আগুন দেওয়া হয়েছে। ১৭ দিনে গড়ে প্রতিদিন পাঁচটি করে বাস পোড়ানো হয়েছে।

এসব ঘটনায় সারা দেশে অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের দুই জন সদস্য মারধরের শিকার হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

১৪ নভেম্বর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ১৭ দিনে সারা দেশে মোট ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর একটি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর সাতটি, ৪ নভেম্বর ছয়টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর দুটি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর সাতটি, ১০ নভেম্বর দুটি, ১১ নভেম্বর সাতটি, ১২ নভেম্বর সাতটি এবং সবশেষ সাতটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসব অগ্নিকাণ্ডে মোট ৯৪টি বাস, তিনটি মাইক্রোবাস, দুটি প্রাইভেটকার, আটটি মোটরসাইকেল, ১৩টি ট্রাক, আটটি কাভার্ড ভ্যান, একটি অ্যাম্বুলেন্স, দুটি পিকআপ, দুটি সিএনজি, একটি নছিমন, একটি লেগুনা, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী একটি গাড়ি, পুলিশের একটি গাড়ি, বিএনপির দলীয় কার্যালয় পাঁচটি, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় একটি, পুলিশ বক্স একটি, কাউন্সিলর অফিস একটি, বিদ্যুৎ অফিস দুটি, বাস কাউন্টার একটি এবং দুটি শোরুম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এতে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনের বেলায় ৬১টি ও রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকায়। এছাড়াও দেশের ২৫টি জেলায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বাকি ৩৯ জেলায় কোনও অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি।

এসময় দেশের সকল বিভাগে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলেও সিলেট বিভাগে এধরনের কোনও ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৮২টি, ঢাকা বিভাগে ৩৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬টি, রংপুর বিভাগে ৬টি, খুলনা বিভাগে ২টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৫টি, চট্টগ্রামে আটটি, নারায়ণগঞ্জ ছয়টি, বগুড়ায় পাঁচটি, মানিকগঞ্জে চারটি, ফরিদপুরে চারটি এবং লালমনিরহাটে চারটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’

হরতাল-অবরোধ : ১৭ দিনে ১৫৪টি অগ্নিসংযোগ

আপডেট সময় ০৬:১৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশের পর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি আগুন দেওয়া হয়েছে। ১৭ দিনে গড়ে প্রতিদিন পাঁচটি করে বাস পোড়ানো হয়েছে।

এসব ঘটনায় সারা দেশে অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের দুই জন সদস্য মারধরের শিকার হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

১৪ নভেম্বর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ১৭ দিনে সারা দেশে মোট ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর একটি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর সাতটি, ৪ নভেম্বর ছয়টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর দুটি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর সাতটি, ১০ নভেম্বর দুটি, ১১ নভেম্বর সাতটি, ১২ নভেম্বর সাতটি এবং সবশেষ সাতটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসব অগ্নিকাণ্ডে মোট ৯৪টি বাস, তিনটি মাইক্রোবাস, দুটি প্রাইভেটকার, আটটি মোটরসাইকেল, ১৩টি ট্রাক, আটটি কাভার্ড ভ্যান, একটি অ্যাম্বুলেন্স, দুটি পিকআপ, দুটি সিএনজি, একটি নছিমন, একটি লেগুনা, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী একটি গাড়ি, পুলিশের একটি গাড়ি, বিএনপির দলীয় কার্যালয় পাঁচটি, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় একটি, পুলিশ বক্স একটি, কাউন্সিলর অফিস একটি, বিদ্যুৎ অফিস দুটি, বাস কাউন্টার একটি এবং দুটি শোরুম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এতে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনের বেলায় ৬১টি ও রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকায়। এছাড়াও দেশের ২৫টি জেলায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বাকি ৩৯ জেলায় কোনও অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি।

এসময় দেশের সকল বিভাগে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলেও সিলেট বিভাগে এধরনের কোনও ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৮২টি, ঢাকা বিভাগে ৩৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬টি, রংপুর বিভাগে ৬টি, খুলনা বিভাগে ২টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৫টি, চট্টগ্রামে আটটি, নারায়ণগঞ্জ ছয়টি, বগুড়ায় পাঁচটি, মানিকগঞ্জে চারটি, ফরিদপুরে চারটি এবং লালমনিরহাটে চারটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।