ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে বকশীগঞ্জে এনসিপি’র বিক্ষোভ জুলাই শহীদ দিবস : বকশীগঞ্জে শহীদ ফজলুল হকের কবর জিয়ারত এনসিপি’র জন্ম নিবন্ধনের ভূয়া সনদ বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের অন্তরায় : জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম র‍্যাবের অভিযান : প্রায় ৫ লাখ জিলেট ব্লেড জব্ধ, গ্রেপ্তার ২ শ্রীরামপুরে শহীদ সাফওয়ানের কবর জিয়ারত মাদারগঞ্জে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি, দুই যুবক গ্রেপ্তার মাদারগঞ্জে ভাতিজা মাসুদ হত্যা মামলায় চাচা ফরিদুল গ্রেপ্তার লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ঢাকা ধলেশ্বরী ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হলেন লায়ন মির্জা মাসুদুর রহমান চরপাকেরদহ ইউনিয়নে বিএনপির সদস্য নবায়ন শুরু দশানী নদীতে অভিযান : নিষিদ্ধ রিং জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

৬ মাসে পবিত্র আল কোরআনে হাফেজ ৭ বছরের শিশু : ইউএনও’র উদ্দীপনা পুরস্কার

মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর হাতে নগদ অর্থ উপহার তুলে দেন ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর হাতে নগদ অর্থ উপহার তুলে দেন ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন,
নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর

শেরপুরের নকলায় মাত্র ৬ মাসে পবিত্র আল কোরআনে হাফেজ হয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করা ৭ বছরের শিশু মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীকে ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন তার নিজস্ব তহবিল থেকে উদ্দীপনা পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ উপহার দিয়েছেন।

৬ নভেম্বর বিকেলে ইউএনও তার নিজ কার্যালয়ে শিশু হাফেজ মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর তিলাওয়াত শুনে মুগ্ধ হয়ে তার হাতে উদ্দীপনা পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ তুলে দেন।

এসময় শিশু হাফেজ মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর মা সুরাইয়া বেগম, নকলা দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আনসারুল্লাহ, ওয়াছকুরুনীর ভগ্নিপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আলীমসহ অনেকে উস্থিত ছিলেন।

মাহদী হাসানের মা সুরাইয়া বেগম বলেন, আমার ছেলে ইউএনও স্যারের হাত থেকে উপহার পেয়ে খুব খুশি হয়েছে। স্যার আমার ছেলেকে যে উপহার দিয়েছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ওয়াছকুরুনীর দুলাভাই হাফেজ মাওলানা আব্দুল আলীম জানান, বাবা হারা মাহদী হাসানের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে নকলা দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আনসারুল্লাহ যাবতীয় ব্যয়ভার গ্রহণের আগ্রহী হয়ে ওয়াছকুরুনীকে নকলা দারল উলুম মাদরাসায় ভর্তি করেন। এখন পর্যন্ত তার যাবতীয় ব্যয়ভার মুফতি আনসারুল্লাহ বহন করছেন।

ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, ৭ বছরের কোন শিশু মাত্র ৬ মাসে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ মুখস্থ করা সত্যিই বিস্ময়কর। এটা একমাত্র আল্লাহর অশেষ রহমতের কারণেই সম্ভব। এ সময় তিনি মাহদী হাসানে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

প্রসঙ্গত, মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনী উপজেলার নকলা পৌরসভার উত্তর কায়দা এলাকার মৃত হাবিব মিয়া ও সুরাইয়া বেগম দম্পতির দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সন্তান। ওয়াছকুরুনী দুই বছর বয়সে তার বাবাকে হারায়। শিশু ওয়াছকুরুনী ২০২২ সালে পাঁচ পারা (‘ক’ গ্রুপ) হিফজ প্রতিযোগিতায় উপজেলায় প্রথম স্থান, জেলায় পঞ্চম স্থান (শারীরিক সমস্যার কারণে) ও বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলো।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে বকশীগঞ্জে এনসিপি’র বিক্ষোভ

৬ মাসে পবিত্র আল কোরআনে হাফেজ ৭ বছরের শিশু : ইউএনও’র উদ্দীপনা পুরস্কার

আপডেট সময় ০১:৪৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩
মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর হাতে নগদ অর্থ উপহার তুলে দেন ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন,
নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর

শেরপুরের নকলায় মাত্র ৬ মাসে পবিত্র আল কোরআনে হাফেজ হয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করা ৭ বছরের শিশু মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীকে ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন তার নিজস্ব তহবিল থেকে উদ্দীপনা পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ উপহার দিয়েছেন।

৬ নভেম্বর বিকেলে ইউএনও তার নিজ কার্যালয়ে শিশু হাফেজ মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর তিলাওয়াত শুনে মুগ্ধ হয়ে তার হাতে উদ্দীপনা পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ তুলে দেন।

এসময় শিশু হাফেজ মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনীর মা সুরাইয়া বেগম, নকলা দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আনসারুল্লাহ, ওয়াছকুরুনীর ভগ্নিপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আলীমসহ অনেকে উস্থিত ছিলেন।

মাহদী হাসানের মা সুরাইয়া বেগম বলেন, আমার ছেলে ইউএনও স্যারের হাত থেকে উপহার পেয়ে খুব খুশি হয়েছে। স্যার আমার ছেলেকে যে উপহার দিয়েছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ওয়াছকুরুনীর দুলাভাই হাফেজ মাওলানা আব্দুল আলীম জানান, বাবা হারা মাহদী হাসানের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে নকলা দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আনসারুল্লাহ যাবতীয় ব্যয়ভার গ্রহণের আগ্রহী হয়ে ওয়াছকুরুনীকে নকলা দারল উলুম মাদরাসায় ভর্তি করেন। এখন পর্যন্ত তার যাবতীয় ব্যয়ভার মুফতি আনসারুল্লাহ বহন করছেন।

ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, ৭ বছরের কোন শিশু মাত্র ৬ মাসে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ মুখস্থ করা সত্যিই বিস্ময়কর। এটা একমাত্র আল্লাহর অশেষ রহমতের কারণেই সম্ভব। এ সময় তিনি মাহদী হাসানে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

প্রসঙ্গত, মাহদী হাসান ওয়াছকুরুনী উপজেলার নকলা পৌরসভার উত্তর কায়দা এলাকার মৃত হাবিব মিয়া ও সুরাইয়া বেগম দম্পতির দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সন্তান। ওয়াছকুরুনী দুই বছর বয়সে তার বাবাকে হারায়। শিশু ওয়াছকুরুনী ২০২২ সালে পাঁচ পারা (‘ক’ গ্রুপ) হিফজ প্রতিযোগিতায় উপজেলায় প্রথম স্থান, জেলায় পঞ্চম স্থান (শারীরিক সমস্যার কারণে) ও বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলো।