ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে নীরবতা ভাঙ্গলেন হিজবুল্লাহ প্রধান

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ৩ নভেম্বর এই প্রথবারের মতো কয়েক সপ্তাহের নীরবতা ভাঙ্গলেন। এ যুদ্ধের ব্যাপারে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধের রেষ এ অঞ্চলকে প্রভাবিত করতে পারে। খবর এএফপি’র।

হামাস যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে প্রধানত ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি হামাস গ্রুপের মিত্র হিজবুল্লাহর মধ্যে পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এতে ভয়াবহ সীমান্ত যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গ্রুপটি জানায়, হিজবুল্লাহ এক যোগে ইসরাইলের ১৯টি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর এর জবাবে ইসরাইলও ‘বিস্তৃত পরিসরে’ হামলা চালানোর কারণে বৃহস্পতিবার আন্তঃসীমান্ত হামলা অনেক বেড়ে যেতে দেখা গেছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখার লেবানিজ শাখা দাবি করে বলেছে, তারা ইসরাইলের সীমান্তবর্তী শহর কিরিয়াত শমোনাতেও রকেট হামলা চালিয়েছে।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান হুশিয়ারি বার্তা উচ্চারণ করে বলেন, ‘এ অঞ্চল একটি বিষ্ফোরণোম্মুখ পাউডার কেগের মতো এবং এক্ষেত্রে ইসরাইল গাজা আগ্রাসন বন্ধ না করলে ‘যেকোনো কিছুই ঘটা সম্ভব’।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পূর্ব ভূমধ্যসাগরে বিমানবাহী দুটি রণতরী পাঠিয়ে হিজবুল্লাহ ও অন্যদেরকে সংঘাত থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ রয়েছে।’

‘আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোন ইঙ্গিত পায়নি যে হিজবুল্লাহ সর্বশক্তি দিয়ে এ যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত। তারা এমনটা করবে তা আমি বিশ্বাসও করিনা। তাই আমরা দেখবো তিনি কী বলেন।’

এএফপি’র তথ্য অনুযায়ী, সীমান্ত যুদ্ধে লেবাননের পক্ষের ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা রয়েছে।

সামরিক বাহিনী বলেছে, এ লড়াইয়ে ইসরাইলি পক্ষের আট সৈন্য এবং একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

sarkar furniture Ad
Green House Ad