ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরিষাবাড়ীতে বন্যার্তদের চাল বিতরণ না করায় নষ্ট হওয়ার অভিযোগ শেরপুরে ছাত্রহত্যা মামলার আসামি সোহেল র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার জামালপুর সদরের দমদমায় ৩৯৮ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার, কালোবাজারিচক্রকে খুঁজছে র‌্যাব জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন : প্রধান উপদেষ্টা জামালপুরে পৌর বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন নাহিদে মুগ্ধ সিমন্স বললেন, ‘গতি কিনতে পাওয়া যায় না’ কপ২৯ দরিদ্র দেশগুলোকে ‘খালি হাতে’ ফিরিয়ে দেয়া যাবে না : গুতেরেস সিরিয়ায় হামলা যুক্তরাষ্ট্রের শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড এলার্ট জারি করতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর হাতীভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

নির্বাচন বানচাল করতেই বিএনপি সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে : ওবায়দুল কাদের

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ওসেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলেই আন্দোলনের নামে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি বিহীন নির্বাচন করব, এটা আমরা চাই না। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তবে কে এলো আর এলো না তার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যারা নির্বাচন চায় তারা কখনও এমন সংঘাতের পথ বেছে নিতে পারে না। নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে।’

ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের দলীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা এ যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির লক্ষ্য নির্বাচনকে বানচাল করা, অংশ নেয়া নয়। নির্বাচন চাইলে তারা এমন সন্ত্রাস করত না। নৃশংসতা বিএনপির আসল রুপ। পুলিশ-সাংবাদিক কাউকেই ছাড় দেয়নি তারা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সড়ক-নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু তাদের দলের মহাসচিবতো জেলে; এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবে কে?

তিনি বলেন, রাজনীতিতে এমন কিছু ভুল আছে যেগুলো সংশোধন করার সময় অনেক সময় থাকে না। বিএনপি এমন কিছু দৃশ্যমান অপরাধ, আন্দোলনের নামে করেছে; যেটা আজকে গাজায় যে নৃশংসতা সাধারণ মানুষের ওপর হচ্ছে তার চেয়েও ভয়ংকর তারা। আমাদের নারী কর্মীরাও রেহাই পাইনি তাদের নির্যাতন থেকে। অনেককেই তারা তাদের পোশাক ধরে টানাটানি করেছে, আঘাত করেছে, মারধর করেছে। মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত। টানা চতুর্থ বারের মতো সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ। আমাদের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যে স্পিরিট ছিল, এটা থাকলে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত।

সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন নিয়ে তিনি বলেন, তাহলে কী সাংবাদিকরা তাদের আসল রুপ নিয়ে লেখার কারণে নির্যাতন করা হয়েছে। সাংবাদিকরা যা দেখেছে তাই তো লিখবে এবং বলবে। এটাই তাদের অপরাধ। এই জন্য বিএনপি তাদের ওপর হামলা করেছে। যাদের বিবেক আছে, বিবেকবান মানুষ সত্যের পক্ষে বলে ও সত্যের সাধনা করে। এধরনের মানুষ বিএনপির চোখে ভালো নয়। প্রত্যেকেই অপরাধী।

মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুরসহকেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহয়োগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরিষাবাড়ীতে বন্যার্তদের চাল বিতরণ না করায় নষ্ট হওয়ার অভিযোগ

নির্বাচন বানচাল করতেই বিএনপি সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৩:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ওসেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলেই আন্দোলনের নামে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি বিহীন নির্বাচন করব, এটা আমরা চাই না। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তবে কে এলো আর এলো না তার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যারা নির্বাচন চায় তারা কখনও এমন সংঘাতের পথ বেছে নিতে পারে না। নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে।’

ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের দলীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা এ যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির লক্ষ্য নির্বাচনকে বানচাল করা, অংশ নেয়া নয়। নির্বাচন চাইলে তারা এমন সন্ত্রাস করত না। নৃশংসতা বিএনপির আসল রুপ। পুলিশ-সাংবাদিক কাউকেই ছাড় দেয়নি তারা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সড়ক-নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু তাদের দলের মহাসচিবতো জেলে; এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবে কে?

তিনি বলেন, রাজনীতিতে এমন কিছু ভুল আছে যেগুলো সংশোধন করার সময় অনেক সময় থাকে না। বিএনপি এমন কিছু দৃশ্যমান অপরাধ, আন্দোলনের নামে করেছে; যেটা আজকে গাজায় যে নৃশংসতা সাধারণ মানুষের ওপর হচ্ছে তার চেয়েও ভয়ংকর তারা। আমাদের নারী কর্মীরাও রেহাই পাইনি তাদের নির্যাতন থেকে। অনেককেই তারা তাদের পোশাক ধরে টানাটানি করেছে, আঘাত করেছে, মারধর করেছে। মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত। টানা চতুর্থ বারের মতো সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ। আমাদের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যে স্পিরিট ছিল, এটা থাকলে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত।

সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন নিয়ে তিনি বলেন, তাহলে কী সাংবাদিকরা তাদের আসল রুপ নিয়ে লেখার কারণে নির্যাতন করা হয়েছে। সাংবাদিকরা যা দেখেছে তাই তো লিখবে এবং বলবে। এটাই তাদের অপরাধ। এই জন্য বিএনপি তাদের ওপর হামলা করেছে। যাদের বিবেক আছে, বিবেকবান মানুষ সত্যের পক্ষে বলে ও সত্যের সাধনা করে। এধরনের মানুষ বিএনপির চোখে ভালো নয়। প্রত্যেকেই অপরাধী।

মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুরসহকেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহয়োগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।