কভিড-১৯ মহামারী শিশুর দারিদ্র অবসানের লড়াইয়ে ব্যাপক মন্থরতা সৃষ্টি করেছে। এতে ৩৩ কোটি ৩০ লাখ শিশু এখনও চরম দারিদ্রের মধ্যে বাস করছে।
১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ইউনিসেফের একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
জাতিসংঘ শিশু তহবিল এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মহামারিটি পূর্বের পূর্বাভাসের চেয়ে ৩ কোটি কম শিশুদের চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তির দিকে পরিচালিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফলস্বরূপ প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন শিশু এখনও প্রতিদিন ২.১৫ ডলারের কম আয় সীমায় বাস করে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কভিড-১৯, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক ধাক্কার প্রভাব থেকে জটিল সংকট অগ্রগতি স্থগিত করেছে এবং লক্ষ লক্ষ শিশুকে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনের ফলাফল ২০৩০ সালের মধ্যে চরম শিশু দারিদ্র্য নির্মূল করার জন্য জাতিসংঘের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যের কাজগুলোতে বড় ধরণের আঘাত করেছে।
বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্য ও সমতা বিষয়ক গ্লোবাল ডিরেক্টর লুইস-ফেলিপ লোপেজ-কালভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘একটি বিশ্ব যেখানে ৩৩ কোটি ৩০ লক্ষ শিশু চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে শুধুমাত্র মৌলিক চাহিদাই নয় বরং মর্যাদা, সুযোগ বা আশা থেকেও বঞ্চিত, কেবল অসহনীয়।’
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সাব-সাহারান আফ্রিকার ৪০ শতাংশ শিশু এখনও চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে – বিশ্বের যে কোনও জায়গার চেয়ে এই হার সর্বোচ্চ।
দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কোভিড-১৯ এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত বিপর্যয়সহ বেশ কয়েকটি কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাব-সাহারান আফ্রিকায় চরম শিশু দারিদ্র্যকে বাড়িয়ে তুলেছে, এমনকি বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে স্থিরভাবে হ্রাস পেয়েছে।
বিশ্বব্যাংক এবং ইউনিসেফ দেশগুলোকে শিশু দারিদ্র্য মোকাবেলায় অগ্রাধিকার দিতে এবং সার্বজনীন শিশু সুবিধা কর্মসূচির সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।