ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে উত্তর চরবওলা স্পোর্টিং ক্লাব এ দল চ্যাম্পিয়ন দেওয়ানগঞ্জে ইসলামী সংস্কৃতি জোটের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাধায় পণ্ড হওয়া ফুটবল খেলা সাত বছর অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীর শাহানাজ আক্তার এখন তুহিন মিয়া ভারতের আহমেদাবাদে ২৪২ আরোহী নিয়ে লন্ডনগামী বিমান বিধ্বস্ত কেন্দুয়া স্পোর্টস একাডেমি চ্যাম্পিয়ন আলাইনদী থেকে আফসানা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার দুর্যোগ মোকাবিলা, পরিবেশ সুরক্ষায় মাদারগঞ্জে দুই শতাধিক বৃক্ষরোপণ ৭৫ দিন নিখোঁজ থাকা নুহাশকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

২৫ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘এমআর নাইন’

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : ২৫ আগস্ট একযোগে দেশের ১৮টি প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি আমেরিকার ১৫২টি থিয়েটারে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘মাসুদ রানা’র গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘এমআর-নাইন: ডু অর ডাই’ সিনেমা। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজাটের সিনেমা এটি। প্রায় ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। হলিউডের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া এই সিনেমাটি নির্মাণ করেছে।

২২ আগস্ট সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার সব কলাকুশলী।

সিনেমাটির পরিচালক আসিফ আকবর বলেন, ‘মাসুদ রানা সিরিজ বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য একটি আবেগ। যারা বইগুলো পড়েছেন, সবার মধ্যে চরিত্রের একটি অবয়ব তৈরি করা আছে। এটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রায় ৬ বছর লেগেছে সিনেমাটি নির্মাণ করতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্ক্রিপ্ট থেকে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ পর্যন্ত আমি দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করিনি। আমি বলব, আমরা সবাই আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজটি করেছি। বাকিটা পর্দায় দেখা যাবে। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাব সিনেমাটি দেখার জন্য। ভালো-মন্দ জানাবেন।’

খ্যাতিমান লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় ‘এমআর-নাইন: ডু অর ডাই’ সিনেমাটি। আমেরিকায় স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এই সিনেমাটি পরিবেশনা করছে।

প্রকল্পটির বাংলাদেশের প্রধান সৈকত সালাউদ্দিন জানান, ‘আমেরিকা জুড়ে ১৫২টির মতো থিয়েটারে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। এটাই সর্বাধিক হল পেতে যাওয়া বাংলা সিনেমা হতে যাচ্ছে।’

গত ৩ আগস্ট ইন্টারনেটে উন্মুক্ত হয় ‘এমআর-৯’-এর গান। ‘নিউ ডে ইজ কামিং’ শিরোনামের গানটিতে ইংরেজি ও বাংলার সমন্বয় করা হয়েছে। এ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বিফল্ট ও কাব্য কৃতি। গান রচনা ও কম্পোজিশন করেছেন ব্র্যান্ডন ফ্রেঙ্কিল, রয় বাচবিন্দর ও কাব্য কৃতি। মিউজিক মাস্টারিংয়ে ছিলেন জেনিয়া লেন ও গ্র্যামিজয়ী রিকি কেজ।

এর আগে, ২৫ জুলাই রাতে জাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিশিয়াল ইউটিউবে উন্মুক্ত হয়েছিল ‘এমআর-৯’-এর ট্রেলার। ট্রেলার দেখে সিনেমার কাহিনি সম্পর্কে খুব একটা ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে ট্রেলারজুড়ে ছিল অ্যাকশন। এই সিনেমায় দেখা যাবে, বাংলাদেশি গোয়েন্দা মাসুদ রানা ও ভারতীয় এজেন্ট দেবী। লাস ভেগাসের ওপর সম্ভাব্য একটি সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতেই তাদের ডাকা হয়। এরপর শুরু হয় মিশন।

নির্মাতা আসিফ আকবরের নির্দেশনায় ‘এমআর-নাইন: ডু অর ডাই’ সিনেমায় মাসুদ রানা চরিত্রে দেখা যাবে এবিএম সুমনকে। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভারতের অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান। এ ছাড়াও হলিউড অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন ফ্র্যাংক গ্রিলো, মাইকেল জাই হোয়াইট, নিকো ফস্টার ও ভারতের ওমি বৈদ্য। অন্যদিকে বাংলাদেশি অভিনেতাদের মধ্যে শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম ও টাইগার রবি অভিনয় করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ৮৩ কোটি টাকার বিশাল বাজেটে নির্মিত এই সিনেমা বাংলা, ইংরেজি ও চাইনিজ ভাষায় আলাদা আলাদা শুটিং হয়েছে। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকায় সিনেমাটির বিভিন্ন দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

২৫ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘এমআর নাইন’

আপডেট সময় ১০:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : ২৫ আগস্ট একযোগে দেশের ১৮টি প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি আমেরিকার ১৫২টি থিয়েটারে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘মাসুদ রানা’র গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘এমআর-নাইন: ডু অর ডাই’ সিনেমা। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজাটের সিনেমা এটি। প্রায় ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। হলিউডের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া এই সিনেমাটি নির্মাণ করেছে।

২২ আগস্ট সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার সব কলাকুশলী।

সিনেমাটির পরিচালক আসিফ আকবর বলেন, ‘মাসুদ রানা সিরিজ বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য একটি আবেগ। যারা বইগুলো পড়েছেন, সবার মধ্যে চরিত্রের একটি অবয়ব তৈরি করা আছে। এটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রায় ৬ বছর লেগেছে সিনেমাটি নির্মাণ করতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্ক্রিপ্ট থেকে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ পর্যন্ত আমি দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করিনি। আমি বলব, আমরা সবাই আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজটি করেছি। বাকিটা পর্দায় দেখা যাবে। সবাইকে আমন্ত্রণ জানাব সিনেমাটি দেখার জন্য। ভালো-মন্দ জানাবেন।’

খ্যাতিমান লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় ‘এমআর-নাইন: ডু অর ডাই’ সিনেমাটি। আমেরিকায় স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এই সিনেমাটি পরিবেশনা করছে।

প্রকল্পটির বাংলাদেশের প্রধান সৈকত সালাউদ্দিন জানান, ‘আমেরিকা জুড়ে ১৫২টির মতো থিয়েটারে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। এটাই সর্বাধিক হল পেতে যাওয়া বাংলা সিনেমা হতে যাচ্ছে।’

গত ৩ আগস্ট ইন্টারনেটে উন্মুক্ত হয় ‘এমআর-৯’-এর গান। ‘নিউ ডে ইজ কামিং’ শিরোনামের গানটিতে ইংরেজি ও বাংলার সমন্বয় করা হয়েছে। এ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বিফল্ট ও কাব্য কৃতি। গান রচনা ও কম্পোজিশন করেছেন ব্র্যান্ডন ফ্রেঙ্কিল, রয় বাচবিন্দর ও কাব্য কৃতি। মিউজিক মাস্টারিংয়ে ছিলেন জেনিয়া লেন ও গ্র্যামিজয়ী রিকি কেজ।

এর আগে, ২৫ জুলাই রাতে জাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিশিয়াল ইউটিউবে উন্মুক্ত হয়েছিল ‘এমআর-৯’-এর ট্রেলার। ট্রেলার দেখে সিনেমার কাহিনি সম্পর্কে খুব একটা ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে ট্রেলারজুড়ে ছিল অ্যাকশন। এই সিনেমায় দেখা যাবে, বাংলাদেশি গোয়েন্দা মাসুদ রানা ও ভারতীয় এজেন্ট দেবী। লাস ভেগাসের ওপর সম্ভাব্য একটি সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতেই তাদের ডাকা হয়। এরপর শুরু হয় মিশন।

নির্মাতা আসিফ আকবরের নির্দেশনায় ‘এমআর-নাইন: ডু অর ডাই’ সিনেমায় মাসুদ রানা চরিত্রে দেখা যাবে এবিএম সুমনকে। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভারতের অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান। এ ছাড়াও হলিউড অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন ফ্র্যাংক গ্রিলো, মাইকেল জাই হোয়াইট, নিকো ফস্টার ও ভারতের ওমি বৈদ্য। অন্যদিকে বাংলাদেশি অভিনেতাদের মধ্যে শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম ও টাইগার রবি অভিনয় করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ৮৩ কোটি টাকার বিশাল বাজেটে নির্মিত এই সিনেমা বাংলা, ইংরেজি ও চাইনিজ ভাষায় আলাদা আলাদা শুটিং হয়েছে। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকায় সিনেমাটির বিভিন্ন দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।