ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিক নাদিমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত শেরপুরে বাস চাপায় অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য নিহত, বাসে অগ্নিসংযোগ বকশীগঞ্জে বাইসাইকেলে বাসের ধাক্কা, এক শিশু নিহত মেলান্দহে অসহায় শুভা আক্তারের রাজকীয় বিয়ে দিলেন সিরাজগঞ্জের পাখিপ্রেমী মামুন বিশ্বাস তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ জামালপুরের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আক্তারুজ্জামান আউয়ালের দাফন সম্পন্ন শেরপুরে বিএনপির মিছিল সমাবেশ মাঠ পর্যায়ে শিক্ষা ছাড়া প্রকৃতিকে বোঝা সম্ভব নয় : মিজানুর রহমান ভূঁইয়া খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি : আওয়ামী লীগনেতা জলিলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নতুন করে বাংলাদেশকে কিভাবে সাজাব সেইটা পরিকল্পনা করছি : শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু

কঙ্গোতে শিশুদের কলেরার বিষয়ে ইউনিসেফের সতর্কতা জারি

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : ইউনিসেফ ১৮ আগস্ট কঙ্গোর গোলযোগপূর্ণ উত্তর-কিভু প্রদেশে শিশুদের কলেরার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। অনুমান করা হচ্ছে এই বছর পাঁচ বছরেরও কম বয়সী ৮ হাজারের বেশি শিশু কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে।

গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটি সংঘাতে জর্জরিত। একারণে বিপুল সংখ্যাক জনসংখ্যা বাস্ত্যুচ্যুত হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউনিসেফ ২০২৩ সালে দেশব্যাপী ৩১ হাজার ৩৪২ জন শিশুর কলেরায় আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছে। আক্রান্তদের মধ্যে কেবলমাত্র গোলযোগপূর্ণ কিভু-প্রদেশেই ২১ হাজার ৪শ’ শিশু রয়েছে।

গোমায় অবস্থিত ইউনিসেফের সিনিয়র জরুরী সমন্বয়কারী শামেজা আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘কলেরা প্রাদুর্ভাবের ধ্বংসাত্মক যে হুমকি দিচ্ছে তার বিপদের ঘণ্টা বাজানো উচিত।’

আবদুল্লাহ বলেন, ‘যদি পরের মাসের মধ্যে জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে কলেরা এমন কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেসব এলাকায় বহু বছর ধরে কলেরার প্রাদুর্ভাব ছিলনা।

ইউনিসেফ বলেছে, উত্তর-কিভুতে এই বছর পাঁচ বছরের কম বয়সী ৮,০০০ এরও বেশি শিশু কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ছয় গুণেরও বেশি।

২০১৭ সালের এই রোগের মহামারী রাজধানী কিনশাসাসহ দেশের বিশাল অংশকে প্রভাবিত করেছে। এসময় প্রায় ৫৫ হাজার শিশু আক্রান্ত হয় এবং ১১শ’ জনেরও বেশি মারা যায়।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন গত জুনে বলেছে, এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে সংঘাতের কারণে পূর্বাঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

ইউনিসেফ বলেছে, যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছিল তাদের আশ্রয় দেয়ার ধারণ ক্ষমতা শরণার্থী শিবিরগুলোর ছিলনা এবং খারাপ পরিস্থিতি কলেরার বিস্তারকে সহজতর করছে।

সংস্থাটি এই রোগের বিস্তার রোধে ও প্রতিক্রিয়া কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে ৬২.৫ মিলিয়ন তহবিলের জন্য আবেদন করেছে। কারণ, সংস্থাটি বছরের শেষ নাগাদ এক মিলিয়ন শিশুসহ ১.৮ মিলিয়ন লোকের কাছে পৌঁছাতে চায়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নাদিমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

কঙ্গোতে শিশুদের কলেরার বিষয়ে ইউনিসেফের সতর্কতা জারি

আপডেট সময় ০৩:২০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : ইউনিসেফ ১৮ আগস্ট কঙ্গোর গোলযোগপূর্ণ উত্তর-কিভু প্রদেশে শিশুদের কলেরার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। অনুমান করা হচ্ছে এই বছর পাঁচ বছরেরও কম বয়সী ৮ হাজারের বেশি শিশু কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে।

গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটি সংঘাতে জর্জরিত। একারণে বিপুল সংখ্যাক জনসংখ্যা বাস্ত্যুচ্যুত হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউনিসেফ ২০২৩ সালে দেশব্যাপী ৩১ হাজার ৩৪২ জন শিশুর কলেরায় আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছে। আক্রান্তদের মধ্যে কেবলমাত্র গোলযোগপূর্ণ কিভু-প্রদেশেই ২১ হাজার ৪শ’ শিশু রয়েছে।

গোমায় অবস্থিত ইউনিসেফের সিনিয়র জরুরী সমন্বয়কারী শামেজা আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘কলেরা প্রাদুর্ভাবের ধ্বংসাত্মক যে হুমকি দিচ্ছে তার বিপদের ঘণ্টা বাজানো উচিত।’

আবদুল্লাহ বলেন, ‘যদি পরের মাসের মধ্যে জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে কলেরা এমন কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেসব এলাকায় বহু বছর ধরে কলেরার প্রাদুর্ভাব ছিলনা।

ইউনিসেফ বলেছে, উত্তর-কিভুতে এই বছর পাঁচ বছরের কম বয়সী ৮,০০০ এরও বেশি শিশু কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ছয় গুণেরও বেশি।

২০১৭ সালের এই রোগের মহামারী রাজধানী কিনশাসাসহ দেশের বিশাল অংশকে প্রভাবিত করেছে। এসময় প্রায় ৫৫ হাজার শিশু আক্রান্ত হয় এবং ১১শ’ জনেরও বেশি মারা যায়।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন গত জুনে বলেছে, এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে সংঘাতের কারণে পূর্বাঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

ইউনিসেফ বলেছে, যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছিল তাদের আশ্রয় দেয়ার ধারণ ক্ষমতা শরণার্থী শিবিরগুলোর ছিলনা এবং খারাপ পরিস্থিতি কলেরার বিস্তারকে সহজতর করছে।

সংস্থাটি এই রোগের বিস্তার রোধে ও প্রতিক্রিয়া কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে ৬২.৫ মিলিয়ন তহবিলের জন্য আবেদন করেছে। কারণ, সংস্থাটি বছরের শেষ নাগাদ এক মিলিয়ন শিশুসহ ১.৮ মিলিয়ন লোকের কাছে পৌঁছাতে চায়।