
সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় নানা আয়োজনে ২০০ বছরের পুরোনো শ্রী শ্রী খাগড়িয়া কালীমাতা মন্দিরে বার্ষিক উৎসব উদযাপিত হয়েছে। উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের কালীমাতা মন্দিরে ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১০ ডিসেম্বর বিকাল পর্যন্ত এ বার্ষিকী উৎসব উদযাপিত হয়।
শঙ্খ কাশরঘণ্টা উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে প্রাতঃকালিন পূজায় এ আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন পৌরহিত্য রতন চন্দ্র কাঞ্জিলাল। বার্ষিক এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য চিকিৎসক মুরাদ হাসান।

খাগুড়িয়া মন্দির সূত্রে জানা গেছে, বৃটিশ শাসন আমল থেকে এ বর্ষ মঙ্গল উৎসব প্রতি বছর এই দিনে পালিত হয়ে আসছে। তৎকালীন এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তি যধিষ্ঠির মন্ডল এ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এই অঞ্চলটিতে জেলে সম্প্রদায়ের লোক বেশি বাস করতো। তারা পাশেই বয়ে যাওয়া ঝিনাই নদী থেকে মাছ শিকার করে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো। মাছ শিকার করতে গিয়ে জেলেরা দুটি পুরাতন মূর্তি পায়। পরে মূর্তি দুটি নিয়ে খাগড়িয়া এলাকায় পাটের শলা দিয়ে মন্দির নির্মাণ করে সেখানে রেখে তারা পূজা অর্চনা শুরু করে। দীর্ঘদিন পরে দেশ বিভক্ত হলে পাকিস্তান আমলের প্রথম দিকে চিকিৎসক রামকমল পণ্ডিত আবারো মন্দিরটি পুনঃনির্মাণ করেন। তখন থেকেই খাগুড়িয়া কালীমাতা মন্দিরে এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে বলে জানান মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী রমেশ চন্দ্র সুত্রধর।

মন্দিরের দায়িত্বে থাকা পৌরহিত্য নিরঞ্জন চক্রবর্তী জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভক্তরা কালীমাতা মন্দিরে এসে পূজা করে তাদের মনের বাসনা পূরণ করে যান। কালীমাতার কাছে প্রার্থনা মা যেন এ জগতের সকল জীবের শান্তি কামনা করেন।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন জায়গার শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করে। বার্ষিক এ উৎসবকে ঘিরে বসানো হয় মেলা। মেলায় হরেক রকম প্রায় শতাধিক দোকান বসে।
