মহাসপ্তমী উদযাপিত : ৩ অক্টোবর অষ্টমী পূজা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার ২ অক্টোবর ছিল মহাসপ্তমী। রাজধানীসহ সারাদেশে হিন্দু-ধর্মাবলম্বীরা পূজামণ্ডপগুলোতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পূজা-অর্চণার মাধ্যমে মহাসপ্তমী উদযাপন করে। দুর্গাভক্তরা দেবীর আরাধনায় পূজামণ্ডপগুলোতে দিনভর ভিড় জমায়।

সপ্তমীর সকালে পূজার শুরুতেই দেবী দুর্গার প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান করানো হয়। এরপর করা হয় নবপত্রিকা স্থাপন। নবপত্রিকার আরেক নাম হলো কলা বৌ স্নান। এছাড়া দেবীর চক্ষুদানের মাধ্যমে দেবী দুর্গার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পূজা শেষে হাতের মুঠোয় ফুল, বেলপাতা নিয়ে ভক্তরা মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে এবারের পূজার প্রথম অঞ্জলি দেন দেবীর পায়ে। করজোরে কাতর কণ্ঠে জগজ্জননীর কাছে শান্তিময় বিশ্বের প্রার্থনা করেন ভক্তরা। ঢাকের বাদ্য, কাসর ঘন্টা কিংবা শঙ্খধ্বনিতে দেবীর আরাধনার পাশাপাশি সবেতেই যেনো ছিলো একই আর্তি।

মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে ১ অক্টোবর শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্যদিয়ে আগামী ৫ অক্টোবর দুর্গোৎসব শেষ হবে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকানুযায়ী, ৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনসহ কয়েকটি স্থানে প্রতিবছরের ন্যায় এবছর কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধিপূজা শুরু হবে বিকেল ৪টা ৪৪ মিনিটে এবং সমাপন বিকেল ৫টা ৩২ মিনিটের মধ্যে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, সারাদেশে এবছর ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ২৪১টি। এসব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করা হয়েছে মণ্ডপ পাহারার জন্য।

sarkar furniture Ad
Green House Ad