মহেশপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা, তেতুলিয়ায় নারীর লাশ

মহেশপুর কালীবাড়ীতে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা জাহিদের গলাকাটা লাশ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুর সদর উপজেলার পৃথক স্থান থেকে জাহিদ (২৫) নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ এবং নিজ ঘর থেকে খোরশেদা বেগম (৫৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১২ সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের মহেশপুর কালীবাড়ী ও জামালপুর পৌর এলাকার তেতুলিয়া এলাকায় এ দুটি ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১২ সেপ্টেম্বর রাতে জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের মহেশপুর কালীবাড়ী এলাকায় জাহিদ (২৫) নামের এক যুবককে জবাই করে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত জাহিদ জামালপুর পৌরসভার নয়াপাড়া পাঁচরাস্তা মোড় এলাকার মৃত জবেদ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় মহেশপুর কালীবাড়ী এলাকার শাহেদ আলীর ছেলে সাজু মিয়াকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে জবাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ধারা লম্বা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জাহিদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সাজু মিয়া পুলিশকে জানিয়েছে, জাহিদ তার বন্ধু। গত রমজান মাসে পৃথক মামলায় জেলে থাকা অবস্থায় তাদের দু’জনের পরিচয় হয়। ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে জামালপুর থেকে মহেশপুর কালীবাড়ীতে সাজু মিয়ার বাড়িতে যায় জাহিদ। তারা দু’জন রাতে মদ্যপান করে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতের কোনো এক সময় ধারালো ছুরি দিয়ে জাহিদকে জবাই করে হত্যা করে সাজু মিয়া। ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে জাহিদের লাশ তার বাড়ির কাছেই রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়ার সময় স্থানীয়রা সাজু মিয়াকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দেয়।

অপরদিকে ১৩ সেপ্টেম্বর ভোরে জামালপুর পৌরসভার তেতুলিয়া এলাকায় নিজ ঘর থেকে খোরশেদা বেগম (৫৫) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নাজিম উদ্দিন সরকার এবং নিহতের সহোদর ভাই শাহিনুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের ছেলে রাজু আহাম্মেদ জানান, পারিবারিক ওয়ারিশের জমির বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা ১২ সেপ্টেম্বর রাতে তার ঘুমন্ত মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানান তিনি।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, জাহিদকে জবাই করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সাজু মিয়া তাকে জবাই করে হত্যার কথা স্বীকার করলেও এ ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ ও জবাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করেছে। অপরদিকে জামালপুর শহরের তেতুলিয়া এলাকায় খোরশেদা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত ও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ দুটি হত্যার ঘটনায় সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

sarkar furniture Ad
Green House Ad