বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ ইউক্রেন এবং রাশিয়া শনিবার জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নতুন করে গোলাবর্ষণের জন্য পরস্পরকে অভিযুক্ত করেছে, এ ঘটনায় কেন্দ্রের ইউক্রেনীয় অপারেটর তেজস্ক্রিয় ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে জাপোরিঝিয়া প্লান্টটি মার্চের শুরু থেকে রাশিয়ান সেনাদের দখলে রয়েছে।
এনারগোদার শহরে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তম এই প্লান্টের আশেপাশে রকেট হামলার জন্য কিয়েভ ও মস্কো বারবার একে অপরকে দোষারোপ করছে।৷
কেন্দ্রে ইউক্রেন অপারেটর এনারগোটম শনিবার বলেছে, রাশিয়ান সৈন্যরা গতকাল দিনব্যাপী ‘একের পর এক রকেট’ হামলা চালিয়েছে।
এনারগোটম এক টেলিগ্রামে বলেছে,‘পর্যায়ক্রমিক গোলাগুলির ফলে, স্টেশনের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হাইড্রোজেন লিক হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে এবং আগুনের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।’
সংস্থাটি বলেছে শনিবার (গ্রীনিচ মান সময় ০৯০০টায়) মধ্যাহ্ন পর্যন্ত তারা প্লান্টটির ‘বিকিরণ এবং অগ্নি নিরাপত্তা মান লঙ্ঘনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য বলেছে যে ইউক্রেনীয় বাহিনী ডিনিপ্রো নদীর ওপারের মার্গানেট শহর থেকে ‘পরমাণু কেন্দ্রের এলাকায় তিনবার গোলা বর্ষণ করেছে’।
রাশিয়ান মন্ত্রণালয় কিয়েভকে ‘পারমাণবিক সন্ত্রাস’ হিসেবে অভিযুক্ত করেছে এবং বলেছে যে তাজা শেলগুলি পারমাণবিক জ্বালানী এবং তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সংরক্ষণের জায়গাগুলির কাছে আঘাত হেনেছে।
মন্ত্রনালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্লাান্টে বিকিরণের মাত্রা ‘স্বাভাবিক রয়েছে’।
প্লান্টে লিক হওয়ার আশঙ্কা থেকে বিকিরণ ঝুঁকি কমাতে মঙ্গলবার পাওয়ার প্লান্ট থেকে ৪৫ কিলোমিটার (২৯ মাইল) উত্তর-পূর্বে খোর্টিটস্কি জেলার বাসিন্দাদের আয়োডিন পিল দেওয়া হয়েছে।
প্লান্টের কাছাকাছি বাসিন্দারা এএফপিকে বলেছে, এই মাসের শুরুতে তারা আয়োডিন পিল পেয়েছেন।