বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১ তরুণকে নামাজে জানাজাশেষে তাদের হাটহাজারীস্থ নিজ নিজ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ৩০ সকালে সাড়ে ১০ টায় হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকার খন্দকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৫ জনের এবং বাকি ৬ জনের পৃথক জানাজা সম্পন্ন হয়।
খন্দকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজায় এলাকার কয়েক হাজার মানুষ শরিক হন। তরুণদের মৃতদেহ বহনকারী এম্বুলেন্স মাঠে এসে পৌঁছালে স্বজনদের পাশাপাশি এলাকাবাসীর শোকের মাতমে ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ। অনেকেই শেষবারের মতো তাদের একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন। গতরাতে সকল আইনি প্রক্রিয়াশেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গেটম্যান সাদ্দামকে আসামি করে গতকাল রাতে মামলা করেছে রেলওয়ে পুলিলশ। এএসআই জহির বাদী হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে ৩০৪ ধারায় সিআরপি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, ২৯ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাই খৈয়াছড়া ঝর্ণায় বেড়ানোশেষে ফেরার পথে নিকটস্থ রেলক্রসিং লাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসকে মহানগর প্রভাতী ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহত হন।
নিহতরা সকলেই হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা আমানবাজার আরজে কোচিং সেন্টারের ৪ জন শিক্ষক ও ৬ জন ছাত্র এবং মাইক্রোবাসের চালক। এরা হলেন : চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খানের বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে, শিক্ষক মোস্তফা মাসুদ রাকিব খান (১৯), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খোন্দকার পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে, শিক্ষক জিয়াউল হক সজীব (২২), মো. ইলিয়াছ ভুট্টোর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৭), মোজাফফর আহমেদের ছেলে মোসহাব আহমেদ হিশাম (১৬), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বার বাড়ির জানে আলমের ছেলে, শিক্ষক ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), একই বাড়ির পারভেজের ছেলে সাগর (১৭) ও আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে ইকবাল হোসেন মারুফ (১৭) ও মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে, শিক্ষক রিদোয়ান চৌধুরী (২২), আব্দুল আজিজ বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে তাসমির হাসান (১৭), মনসুর আলমের ছেলে মো. মাহিম (১৭) ও মাইক্রোবাস চালক আজিম সাবরেজিস্ট্রার বাড়ির হাজী মো. ইউসুফের ছেলে গোলাম মোস্তফা নিরু (২৬)।